বায়োপসি হয়েছে খালেদা জিয়ার, আছেন আইসিইউতে
প্রকাশিতঃ 5:48 pm | October 25, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
রাজধানী এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বায়োপসি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দলের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট্ট একটি অপারেশন হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা দেখলেন, উনার একটা বায়োপসি করা দরকার। ছোট একটা লাম্প (পিণ্ড) আছে এক জায়গায়। যেহেতু লাম্প আছে, তার নেচার অফ ভিউ জানার জন্য লাম্পে বায়োপসি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অপারেশনের পরে বেগম জিয়া সুস্থ আছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। এখন তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সব ধরনের বিদপমুক্ত।
‘বায়োপসি করার পরিপ্রেক্ষিতে রেজাল্ট পেতে সময় লাগে। উনি সুস্থ আছেন।’
এ চিকিৎসক বলেন, ‘অপারেশনের পর বেগম জিয়ার ভাইটাল প্যারামিটারগুলো স্ট্যাবল আছে। এখন তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বায়োপসি ডায়াগনস্টিক পার্ট। পরের চিকিৎসা কী হবে, সেটা ঠিক হবে পরে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেকেই দেশনেত্রীর শারীরিক বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সঠিকভাবে জানানোর জন্য আজকের এ সংবাদ সম্মেলন। আমি এটুকু বলতে চাই, আপনারা নিশ্চিত থাকুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখন একদম সুস্থ আছেন। কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তার ভাই কথা বলেছেন এবং আমাদের যে দুজন চিকিৎসক আমার দু-পাশে বসে আছেন তারা নিশ্চিত করেছেন যে তিনি অত্যন্ত সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। তার কোনো রকম বিপদের কোনো সম্ভাবনা নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা বার বার বলেছেন, তার অ্যাডভান্স চিকিৎসার জন্য এখানে (বাংলাদেশ) কোনো অ্যাডভান্স সেন্টার নেই। সেজন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে বাইরে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা এমন একটা দেশে বাস করি একটা সাধারণ মানুষেরও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। তার এ অধিকার সরকার দেয়নি। আমরা আবার বলছি, চিকিৎসকও বলেছেন, সি নিডস অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট ইন অ্যাডভান্স সেন্টার। সেজন্য আইনগতভাবে কোনো বাধা আছে বলে মনে করি না। কারণ তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন। কেন জামিন পাবেন না। এটা কোনো দয়া নয়। এটা একটা মিথ্যা মামলা তারপরও বলছি এই ধরনের মামলায় জামিন পাওয়ার অধিকার আছে।
কালের আলো/পিএসবি/এমএম