বিএনপি দেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানাতে চায়: কাদের
প্রকাশিতঃ 3:23 pm | October 08, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে নালিশ করে বিএনপিই দেশকে নতজানু করেছে, আওয়ামী লীগ নয়। বিএনপি নিজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং এ তত্ত্বের অনুসারী বলে সবক্ষেত্রে গন্ধ খুঁজে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সবসময় আপোষহীন, যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন তাহলে ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন।
‘বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ জানে কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। কথায় কথায় যাঁরা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করেন, যাঁরা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেন। তাঁরাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান।
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনিয়ম করে যাঁরা প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে খোজ- খবর নেওয়া হচ্ছে প্রমাণ পাওয়া মাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আবারও স্মরণ করিয়ে দেন, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না এবং এবারও যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাঁদেরও ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবি ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
বিএনপির গণ-আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ এখন তাদের এ গণ-আন্দোলনের আহ্বানের ডাক শুনলে হাসে। কারণ ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাঁদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেয়নি।
তিনি বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, দেশে এই মূহুর্তে গণ-আন্দোলনের বস্তুগত কোনো উপাদান নেই, অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেবে না।
‘সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবেন না, সংসদে তো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছেন। তাহলে একদলীয় শাসন হয় কীভাবে। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিল জাতি তা ভুলে যায়নি।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল