নববধূকে ট্রলারে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ, দেবরসহ গ্রেফতার ৩
প্রকাশিতঃ 6:07 pm | October 07, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বাবার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে চাচাতো দেবরের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে মামলার প্রধান অভিযুক্ত চাচাতো দেবরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাচাতো দেবর ছলেমান ব্যাপারী (২২), বাপ্পি প্যাদা (২৪) আরিফ খাঁন (২৩)। তাদেরকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নির্যাতনের শিকার নববধূর সাড়ে তিন মাস আগে বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে চাচাতো দেবর ছলেমান ব্যাপারীর সঙ্গে বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে বুধবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরনজির গ্রামের সাপেরখালের নির্জন বনে গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনার পরদিন নববধূর বাবা বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার সকাল ১০টায় নির্যাতনের শিকার নববধূ (বাদীর মেয়ে) তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ১ নম্বর আসামি চাচাতো দেবর ছলেমানের সঙ্গে বাবার বাড়ি রওনা হয়। চরআগস্তি হাক্কাঘাট খেয়াঘাট (গলাচিপা) এসে ভাড়ায়চালিত যাত্রীবাহী খেয়ায় না উঠে ছলেমান অসৎ উদ্দেশ্যে তার ভাবিকে নিয়ে পূর্বপরিচিত আরিফ খানের (২ নম্বর আসামি) ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে ওঠে। পথিমধ্যে ছলেমান ও আরিফের যোগসাজশে ছলেমানের মুঠোফোনে অপর আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং চরনজির সাপেরখালে থাকতে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী আরেকটি ট্রলার নিয়ে পাঁচজন আসামি নববধূর অবস্থান করা ওই ট্রলারে উঠে পড়ে। পরে দুপুর ১টায় চরনজিরের সাপেরখাল সংলগ্ন বন বিভাগের নির্জন বনের খালে নিয়ে যায় তাকে। একপর্যায় জোরপূর্বক ট্রলারের ছইয়ের মধ্যে নিয়ে প্রথমে দেবর ছলেমান এবং পরে অপর আসামিরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে ছলেমান এবং বাপ্পিকে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের গলাচিপা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রিমান্ড চাওয়া হয়নি। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল