মোবাইলে লুডু খেলা নিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
প্রকাশিতঃ 2:17 pm | September 22, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:
মাদারীপুর জেলার শিবচরে রতন মোল্লা (৮) নামে এক শিশুকে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় সোহান (৯) নামে আরেক শিশুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পদ্মাসেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের সীমানা এলাকার নির্জন জায়গা থেকে শিশু রতনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১৯ বছর বয়সী মেহেদী হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের কাচাই মাতবরের কান্দি গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, দেড় মাস আগে চরকান্দি গ্রামে নানা আনসু ব্যাপারীর বাড়িতে বেড়াতে আসে মেহেদী। এরপর পার্শ্ববর্তী রতন ও সোহানের সঙ্গে মোবাইলে গেম খেলত সে। মঙ্গলবার সকালে সোহানের মায়ের মোবাইলে আবারো তিনজন মিলে লুডু খেলে। এ সময় মেহেদীকে বকা দেয় রতন ও সোহান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিশু দুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে মেহেদী।
পুলিশ জানায়, এরপরই ওই দুই শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেহেদী হাসান। পরিকল্পনা অনুযায়ী বেড়ানো ও নতুন রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে তাদেরকে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক সংলগ্ন নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পানি ও চানাচুর আনতে ১০০ টাকা দিয়ে সোহানকে দোকানে যেতে বলেন মেহেদী। সোহান চলে যেতেই রতনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। ঘটনার প্রায় ২০ মিনিট পর সোহান এসে রতনের খোঁজ জানতে চায়। এসময় মেহেদী জানান, রতন বাড়ি চলে গেছে। পরে সোহানকে নিয়ে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যান তিনি। সেখানে নিয়ে সোহানকেও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এসময় সোহানের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পালিয়ে যান মেহেদী। পরে স্বজনরা মেহেদীর সারা শরীর কাঁদা দেখে রতন ও সোহানের খোঁজ চান। কিন্তু কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। পরে থানায় খবর দেন স্বজনরা।
পুলিশ আরও জানায়, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমির সেরনিয়াবাতসহ পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি। দেখিয়ে দেন রতনের মরদেহও। মঙ্গলবার দিনগত রাতে শিশু রতনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী জানিয়েছে মোবাইলে লুডু খেলার সময় বকা দেওয়ায় রতনকে হত্যা করা হয়েছে। রতনের স্মার্টফোনটিও তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল