তরুণীকে যৌন নির্যাতন : ভারতে টিকটক হৃদয়সহ ২ জন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিতঃ 7:04 pm | May 28, 2021

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ভারতে স্বদেশী তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার ছয় বাংলাদেশীর মধ্যে পালানোর সময় টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত রিফাতুল ইসলাম হৃদয়সহ দুজন পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে।

বেঙ্গালুরুর পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে আরো বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তদন্তের জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে অপরাধস্থলে যায়। সেখানে অভিযুক্ত দুজন পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায় এবং তারা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এক তরুণীকে ভয়াবহ ভাবে যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু পুলিশ দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। বেঙ্গালুরুতে ছয় দিন আগে এ ঘটনা ঘটে।

বেঙ্গালুরু পুলিশ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ভিডিও ক্লিপের উপর ভিত্তি করে এবং অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও আরো কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ‘এখন পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে, এরা সকলেই একই গ্রুপের সদস্য এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছে। অর্থনৈতিক পার্থক্যের কারণে অপরাধীরা ভিকটিমের ওপর নির্যাতন চালায়। ভিকটিমও বাংলাদেশী এবং ভারতে পাচারের জন্য তাকে আনা হয়েছিল।’

ভিকটিম এখন ভারতের অন্য একটি প্রদেশে রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। একটি টিম তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তাকে পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি নেয়া হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো: শহিদুল্লাহ বলেন, টিকটক হৃদয়ের মা ও মামা পুলিশকে জানায়, উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে চার মাস আগে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকে বাসার কারো সাথে তার যোগাযোগ ছিল না।

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কৌশলে টিকটক হৃদয়ের মামার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে হৃদয়ের ভারতীয় নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তখন সে জানায়, গত তিন মাস আগে ভারতে গেছে। যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেই ঘটনা ঘটে ১৫ থেকে ১৬ দিন আগে।

হৃদয় জানায়, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় হৃদয় ও তার কয়েকজন বন্ধু জড়িত ছিল। ঘটনাটি ঘটে ভারতের কেরালায়। ওই ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে আগে থেকেই তার পরিচয় ছিল।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, হৃদয়ের দেয়া তথ্যমতে তরুণীর পরিবারের সন্ধান পেয়েছি। পরিবার তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে। পরিবারের সাথে মেয়েটির গত দুই বছর ধরে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

ডিসি শহিদুল্লাহ আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা করা হচ্ছে এরা একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। যারা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অসহায় ও বিদেশে গমনে ইচ্ছুক নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার করত।

কালের আলো/ডিএস/এমএম