কোথায় হবে এরশাদের দাফন?
প্রকাশিতঃ 11:46 am | July 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
টানা কয়েক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে হার মানলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ রোববার সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরশাদের কবর কোথায় হবে এটা নিয়ে এখন চলছে না আলোচনা।
জানা গেছে, এরশাদ চেয়েছিলেন তার গ্রামের বাড়িতে মায়ের কবরের পাশেই যেন তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এরশাদের ইচ্ছাটা পরিবার ও দলের শীর্ষ নেতারা রাখবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এরশাদের কবর কোথায় হবে তা নিয়ে গত ৩ জুলাই বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। সেই সভায় এরশাদের কবরস্থানের জায়গা কেনার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ। সেদিনের সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতা এরশাদের কবরস্থান নিজস্ব কেনা জায়গায় পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মত দেন। তবে কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য দাবি করেন, এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে তার কবরের কথা বলেছেন। কয়েক নেতা এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘এরশাদ দেশের সতের কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার কবরস্থান জিয়ারত করতে যেতে পারবে না।‘
সেদিনের সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুরের আদাবরে জায়গা কিনে কবরস্থান কেনার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, `আদাবরে না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দেব।’
এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ কোটি টাকা দেব। স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেয়া হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করব।’
শেষ পর্যন্ত এরশাদকে কোথায় দাফন করা হবে সে নিয়ে দলের নেতারা এখনও একমত হতে পারেননি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে বলেও জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।
কালের আলো/এআর/এমএম