রাজনীতির জায়গা রাজদুর্নীতি দখল করেছে
প্রকাশিতঃ 11:18 am | July 04, 2019

পীর হাবিবুর রহমান:
কি লিখতে গিয়ে কি লিখি, কি বলতে গিয়ে কি বলি! নিজেই তাজ্জব হয়ে যাই। অন্তহীন দহনে দগ্ধ হই! আত্নতৃপ্তি নেই, মনের সূখ নেই। রাজনীতির জায়গা রাজদূর্নীতি দখল করেছে। আদর্শিক রাজনীতি নেই।রাজনীতির দীর্ঘপথ পরিক্রমায় আদর্শিক গনতান্ত্রীক মূল্যবোধে সাংগঠনিক দক্ষতা মেধা যোগ্যতা ও গনমুখী সৎ চরিত্র নিয়ে আর রাজনীতিতে আসতে হয়না।
যখন যার খুশি অর্থ পেশী শক্তি আর অনুকম্পা বা করুনালাভের মধ্য দিয়ে হঠাৎ নেতা,হঠাৎ রাজনীতিবিদ হওয়া যায়।সরকারি চাকরিবাকরি করে নিরাপদ জীবন গড়ে, অবসরে গিয়ে রাজনীতির মন্চে দখলই নয়, এক লাফে এমপি মন্ত্রী নেতা হওয়া যায়।রাজনীতি করে, কর্মী তৈরি করে,দলের জন্য নিবেদিত হবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ন না হয়েই যেমন খুশি,যখন খুশি নেতা হওয়া যায়।
আগে রাজনৈতিক কর্মি সংগঠক ও নেতা আসতেন দলের প্রতি আদর্শিক কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করতে করতে কর্মি ও মানুষের মন জয় করে।সাদামাটা নিরাভরন তাদের জীবন হতো মানুষের আদর্শ। শ্রদ্ধা ভালোবাসায় তাদের জন্য মানুষের মন ভরে যেতো।এখন রাজনীতির পথপরিক্রমা বাদ দিয়ে সামরিক শাসকদের দলের নেতা হবার মতোন গনতান্ত্রীক দলেও পাইকারি হারে নেতা পয়দা হয়।
রাজনীতিবিদরা বোকার মতোন ঠকে গিয়ে অসহায়ের মতোন দেখেন কিভাবে তাদের পিছনে ফেলে অর্বাচীন বালকেরা করুনা ভিক্ষায়,ব্যবসায়ীরা বিত্তের গরমে, অবসরপ্রাপ্ত আমলারা সুবিধাবাদী চরিত্রের ষোলকলা পূর্ন করে, দলকানা দলদাস সূযোগ সন্ধানীরা হঠাৎ চাটুকারিতায় ছাত্রজীবনে যা বিশ্বাস করেনি, নয়া মুসলমান গরু বেশি খাবার মতোন সেই বন্ধনা বেশি বেশি করে উঠে আসে।
রাজনীতি এভাবে রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে মরুকবলিতই নয়, প্রানহীন আকর্ষনহীন সুবিধাবাদীদের গনিমতের মালে পরিনত হয়। যেভাবে যার খুশি যখন তখন রাজনীতিবিদদের অসহায় করে দিয়ে ভোগের নেশায় দখল করে। নিজেদের আত্নগ্লানির কারনে রাজনীতির মূলশক্তি বা কর্মীদের মাঝে হয় বিভেদ নয় ভেজাল মাল গোডাউনে ঢুকিয়ে দলকে নড়বড়ে করে দেয়। আর যখন যে দল ক্ষমতা হারায় তখন তারা হায় হায় করে, ত্যাগী কর্মিরা মার খায়, লুটেরা সুবিধাবাদীরা নিরাপদে নয় আপোসে কেটে পড়ে!
কি অদ্ভূত রাজনীতির নীতিহীন আগ্রাসন দেখতে দেখতে বড় বেশি ক্লান্ত লাগে। এ নিয়ে না বলা যায়,লেখা যায়, না সয়ে যাওয়া যায়। আর মুক্তিযুদ্ধে ও গনতন্ত্রের সংগ্রামে দেখা স্বপ্ন ও অংগীকার অধরাই থেকে যায়।আহারে মনসবড় বিষাদ হয়, বেদনায় ভারি হয়!সেই কৈশোর থেকে পুরো যৌবন কি স্বপ্নই না দেখেছিলাম!
বেশি কিছুই চাইনি। চেয়েছিলাম আত্নমর্যাদা নিয়ে অবাধ স্বাধীনতাভোগ করতে। লিখতে হাত খুলে।ব লতে প্রান খুলে। পারিনি।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন