করোনায় যশোরে এক সপ্তাহে তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিতঃ 12:43 pm | June 21, 2025

যশোর প্রতিবেদক, কালের আলো:

ফের করোনা বিস্তারের মাঝে যশোরে প্রথম শনাক্ত নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যশোরে চলতি সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ মৃত সাবিলা বেগম (৫৫) শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সাবিলা বেগম সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার গদখালী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও যশোর কোতোয়ালি থানায় কর্মরত নারী এসআই (নিরস্ত্র) মিনারা আলমের শাশুড়ি। তিনি বেজপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।

এর আগে গত বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ইউসুফ হোসেন (৪২) মারা যান। মৃত ইউসুফ হোসেন মণিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (১৭ জুন) ভোরে করোনায় বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আমির হোসেনের (৬৮) মৃত্যু হয়। তিনিও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া করোনা সন্দেহে তিন রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে শনিবার (২১ জুন) থেকে হাসপাতালে করোনার র্যাপিট অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন শাফায়েত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু হলে চিকিৎসকদের আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের উপরে নির্ভর করতে হবে না।

হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন সাবিলা ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর নিয়ে যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরে গত ১২জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. রবিউল ইসলাম তুহিন জানান, রোগীর শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা ও আগে থেকেই কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। যা করোনা সংক্রমণের ফলে আরও জটিল আকার ধারণ করে। মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন শাফায়েত বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য দুই হাজার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালে এসেছে। শনিবার থেকে হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে।

কালের আলো/এএএন