বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে-এমন মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

তিনি বলেছেন, জাতির যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সৈয়দপুর সেনানিবাসস্থ ইএমই সেন্টার ও স্কুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি, ইঞ্জিনিয়ার এবং বীর রেজিমেন্টের ৬ টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে আজ প্রথম কোন ইঞ্জিনিয়ার ইউনিট রেজিমেন্ট কালার অর্জন গ্রহণ করলো, এমনটি জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের রচনা হলো। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা পেলেন সেই ৬ টি ইউনিটকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সংকট সময়ে বড় ধরণের অপারেশন চালিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে কাজ করেছে। এছাড়া আর্ত সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।

যোগ্যতা অর্জনকারী ইউনিটসমূহের জন্য আগামী বছর থেকে জাতীয় পতাকা অনুষ্ঠান আয়োজন করারও ঘোষণা দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। দেশপ্রেমিক এই বাহিনীটির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আধুনিক ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন আবশ্যক।

সেই লক্ষে সরকারের রূপরেখা ২০২১ এবং ফোর্সেস গোল ২০৩০’র আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কার্যক্রম বিন্যাস এবং আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।’

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর কোন ইউনিটকে এবারই প্রথম রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হলো। সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যে কোন ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার অর্জন ভীষণ গৌরবের।

সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭, ২০, ৩২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৫ বীর (সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন) কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং সেনাবাহিনী প্রধানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

এই রেজিমেন্টাল কালার প্যারেডের প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মতিউল ইসলাম মন্ডল।

রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুর এরিয়া’র এরিয়া কমান্ডার, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিট সমূহের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরীরত সাবেক অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসটি/এএ