সহনীয় দামে দেশীয় পোশাক কেনার সুযোগ আজিজ সুপার মার্কেটে

প্রকাশিতঃ 2:58 pm | March 27, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

আশির দশক থেকে বইপ্রেমী, সাংস্কৃতিক কর্মীদের অন্যতম আড্ডাস্থল ছিল আজিজ সুপার মার্কেট। ১৯৮৭ সালে পাঠক সমাবেশ দিয়ে আজিজ মার্কেটে বইয়ের দোকানের যাত্রা শুরু। এরপর আরও বাড়তে থাকেন বইয়ের দোকান।

কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে আজিজ মার্কেটে একটা-দুইটা করে বাড়তে থাকে কাপড়ের দোকান। দিনদিন পোশাকের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসার ধরণ বদলাতে শুরু করেন। ২০০৫ সালের পর থেকে কাপড়ের দোকান থেকে বেশি ভাড়া এবং অতিরিক্ত অগ্রিম অর্থ পাওয়ার কারণে দোকানের মালিকরাও পোশাক বিক্রেতাদের বেছে নিয়েছেন। ঈদেও তুলনামূলক সহনীয় দামে নিজেদের পছন্দের দেশীয় পোশাক কেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। যদিও আগের তুলনায় কাপড়ের রঙ, মান ধরে রাখতে অনেক দোকানি ব্যর্থ হচ্ছেন এমন অভিযোগ আছে ক্রেতাদের।

ঈদ কেনাকাটা করতে আসা শরিফ-তাহমিদ ও ফিরোজ আলম বলেন, ঢাকার অন্য মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দাম তুলনামূলক বেশি। এছাড়াও অনেক ভিড় থাকে। সেই তুলনায় আজিজ সুপার মার্কেট কিছুটা ফাঁকা। তাই কেনাকাটা করে স্বস্তি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে শরিফ বলেন, ‘তিনবন্ধু একই ধরনের পাঞ্জাবি কেনার জন্য এসেছি। এই জায়গায় একই ধরনের অনেক দোকান থাকায় অন্য কোথাও যাওয়া হয়নি।’

আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় বিজে পয়েন্টের মালিক বাহালুল বলেন, ‘পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট মূলত পাইকারি বিক্রি হয়। রোজা শুরু কিছুদিন পর থেকেই ঢাকা এবং বাইরের বিক্রেতারা পোশাক নিয়েছেন। আমাদের খুচরা বিক্রিও হয়। তুলনামূলক ভালো বিক্রি হচ্ছে এবার।’ পোশাকের বিশেষত্ব তুলে ধরতে গিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বেড়েছে। পোশাকেরও দাম ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু আমরা কাপড়, রঙ, সুতা সব কিছুতে যাতে মান ঠিক থাকে সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। এটার ফিডব্যাকও ভালো আসে।’

‘মেঘ’ নামের আরেকটি শো-রুমে গিয়ে দেখা গেল, পাঞ্জাবি ও কাতুয়া দেখছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তাদের মধ্যেও তরুণ ক্রেতা বেশি। অনেকে আবার সন্তানদের জন্যও ঈদের পোশাক দেখছেন দোকানটিতে।

মেঘ-শো-রুম দেখভালের দায়িত্বে থাকা ওবায়দুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে। সরাসরি কেনার বাইরে অনলাইনেও পছন্দের পোশাক নেওয়ার সুযোগ আছে।’

তিনি জানান, পুরুষদের অনেকের পছন্দের পোশাক কাতুয়া ৮৫০ টাকা থেকে দাম শুরু। পাঞ্জাবি ১ হাজার ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত আছে। এছাড়া যুগলদের জন্য পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিস পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।

আজিজ সুপার মার্কেটের একাধিক শো-রুম আছে কাপড়-ই বাংলার। বিশেষ করে নারীদের ওড়না, থ্রি-পিস, ওয়ান পিস কাপড়ের জন্য পছন্দের দোকান এটি। দোকানের ব্যবস্থাপক জানান, ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৬৯০ টাকা পর্যন্ত থ্রি-পিস আছে। দেশীয় সিঙ্গেল কামিজ ১ হাজার ৩৯০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ টাকা পর্যন্ত দামের আছে।

কালের আলো/এমএএইচএন