উত্তরায় শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর
প্রকাশিতঃ 10:51 pm | March 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বৈশাখী নামের ১২ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্যাতন করে শিশুটিকে হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। গৃহকর্মী হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তরার ৩ নং সেক্টরে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) দুপুরের পর শিশুটির মরদেহ উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাসার ছয়তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিফাত ফেরদৌস নামে একজনের বাসায় কাজ করত মেয়েটি। ওই বাসায় এক শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা রিফাত। দুপুরের তিনি পুলিশকে খবর দিলে বাসায় গিয়ে একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালায় ঝুলন্ত অবস্থায় বৈশাখীর লাশ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন, নির্যাতন করে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে তারা জড়ো হয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন বাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ফায়ার সার্ভিসকেও তারা সরিয়ে দেয়।এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে স্থানীয়দের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বৈশাখী নওগাঁয় তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল সপ্তাহ দুয়েক আগে। কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে সোমবার সে কাজে যোগ দেয়। ওই শিশু গৃহকর্মীকে আগেও তুচ্ছ কারণে মারধর করতেন ওই বাড়ির লোকজন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। নয়তো ১২ বছরের একটি শিশুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, বাড়ির কর্তা রিফাত ফেরদৌসকে থানায় এনে জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে।শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন উত্তরার পুলিশ। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কালের আলো/এমএইচএ