লাশ শনাক্তে লাগবে ১৫ দিন: সিআইডি
প্রকাশিতঃ 4:05 pm | February 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
চকবাজার ট্র্যাজেডিতে নিহত অজ্ঞাত ১৯টি মরদেহের ১৪টির পরিচয় শনাক্তে ১৫ দিন এবং বাকি ৫টি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ৩ সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সোমবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডি অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার।
তিনি বলেন, ৬৭টি মরদেহের মধ্যে ১৯টি মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বাকিদের মরদেহ শনাক্ত করে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই মরদেহের একাধিক দাবিদার হিসেবে ১৯ টি মরদেহের বিপরীতে ৩৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
‘এর মধ্যে ১৪ টি মরদেহের মাসল সেম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে, যেগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় লাগবে। বাকি ৫টি মরদেহের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় সেগুলোর হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো থেকে স্যাম্পল সংগ্রহের পর্যায়ে আসতেই অন্তত ৩ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর ডিএনএ ম্যাচিংয়ের বিষয়টি আসবে।’
অগ্নিকাণ্ড স্থলের বিষয়ে সিআইডি কোন পরীক্ষা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মহাখালীতে কেমিক্যাল ল্যাব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট তদন্ত দপ্তর ফায়ার সার্ভিস যদি আমাদের সহায়তা চায় তাহলে সেসব স্যাম্পল পরীক্ষায়ও সহায়তা করা হবে।
পরবর্তিতে কোন পরিবার লাশের দাবি জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬৭টি মরদেহের স্যাম্পলই আমাদের কাছে রয়েছে এবং এটা যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত থাকবে। কোন পরিবার যদি পরবর্তিতে দাবি জানায় তাহলে তখন পরীক্ষা করা হবে, তবে এই চ্যালেঞ্জের বিষয়টি অবশ্যই আদালতের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।
এর আগে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার তিনি বলেন, চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় সনাক্তে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ৬৭টি মৃতদেহ থেকে ২৫৬টি (রক্ত, টিস্যু, হাড় ও বাক্কাল সোয়াব) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি বিচ্ছিন্ন পৃথক হাতকে পৃথক আলামত হিসেবে গণ্য করে সেটি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর ফলে মোট সংগৃহীত নমুনার পরিমান দাঁড়ায় ২৫৭টি।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢামেকে স্থাপিত অস্থায়ী বুথের মাধ্যমে লাশের দাবিদারদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৮ জন নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে ৩৮টি রেফারেন্স নমুনা সংগ্রহ করে। অশনাক্তদের পরিচয় নিশ্চিত হতে সিআইডির ফরেনসিক টিম ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে। সিআইডির ডিএনএ ল্যাব টিম সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা করে অশনাক্তদের পরিচয় শনাক্তের কাজ শেষ করবে।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ