বিশ্ব ইজতেমার প্রথম আখেরি মোনাজাত আজ

প্রকাশিতঃ 10:01 am | February 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিধাবিভক্ত তাবলিগ জামাতের প্রথম আখেরি মোনাজাত আজ (শনিবার) সকাল ১০টায়। এর মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের কাওমিপন্থি ও সাদ বিরোধী পক্ষের ইজতেমা শেষ হচ্ছে। এ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হবে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি)।

মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ অনুসারীদের দুদিন করে পৃথক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এবারের বিশ্ব ইজতেমায় দুটি আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা জোবায়েরপন্থীদের ব্যবস্থাপনায় আখেরি মোনাজাত হবে আজ শনিবার। এই ধাপে রয়েছেন জোবায়েরপন্থী আলেম-ওলেমা কওমিপন্থী তাবলিগ জামাতের অনুসারী মুসুল্লিরা। দ্বিতীয় ধাপের নেতৃত্বে থাকছেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির ভারতের মাওলানা সাদ সমর্থক ওয়াসেকুল ইসলামের অনুসারীরা।

তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ বিরোধী ও কাওমিপন্থি পক্ষের ইজতেমা শুরু হয় বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে। শনিবার সকাল ১০টা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তাবলিগ জামাতের সাদ বিরোধী অংশের ইজতেমা। এরপর এ অংশের তাবলিগ কর্মী টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ছেড়ে দেবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মাঠ হস্তান্তর করবেন। রো্ববার ফজরের নামাজের পর ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করবেন। ইজতেমায় মুসল্লিদের ব্যক্তিগত মালামাল ছাড়া অন্য সব মালামাল স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে। একই সঙ্গে সাদ বিরোধী অংশে আগত বিদেশি মেহমানরা ইজতেমা শেষে উত্তরা হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিরা। মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। তার বয়ানের অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের। মাওলানা সাদ বিরোধী অংশের ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে চট্টগ্রাম থেকে টঙ্গীতে আসেন তিনি। আহমদ শফী আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমায় অবস্থান করবেন। সাদ বিরোধী অংশকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে হেফাজত।

সরকারের পক্ষ থেকে দুদিন করে ইজতেমার অনুমতি দিলেও দুপক্ষই সেটি মানেনি। পৃথকভাবে দুপক্ষের ইজতেমা চার দিন হওযার কথা ছিল। সাদ বিরোধী অংশের জন্য ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং সাদ অনুসারী অংশের জন্য ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা তারিখ নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে সাদ বিরোধীরা নির্ধারিত সময় থেকে একদিন আগে ১৪ ফেব্রয়ারি ইজতেমা শুরু করে। এদিকে সাদ বিরোধীদের মতো সাদ অনুসারীরাও বাড়তি একদিন ইজতেমা পরিচালনা করবে। তাদের ইজতেমা ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ