নতুন উদ্যম আর শক্তিতে মাঠে রাষ্ট্রপতির ছেলে তৌফিক
প্রকাশিতঃ 7:49 pm | January 11, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
একেতো তিনি ‘ভাটির শার্দুল’ মহামান্যের সন্তান। নিজে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য হয়েছেন। বরাবরই পাশে ছিলেন হাওড়ের বাসিন্দাদের। অনেক সংসদ সদস্যই ঢাকামুখী হলেও এক্ষেত্রে তিনি ব্যতিক্রম। নাড়িপোতা ভিটার মানুষজনের কাছে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য তাঁর।
জীবনের উষালগ্নেই এই শিক্ষাটা আবার পেয়েছেন স্নেহময়ী বাবা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছেই।
প্রধানমন্ত্রীর অপার স্নেহ আর আস্থার মর্যাদা দিতেই সব সময় বদ্ধপরিকর ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক।
ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে ঢাকায় বসে না থেকে ছুটে এসেছেন হাওরের কোলে, ‘আপনজন’ সাধারণ মানুষের কাছে।
নতুন শক্তি আর উদ্যমে কাজ করতে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি।
প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক কালের আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে যে স্নেহ ও আস্থা দেখিয়েছেন, সর্বশক্তি দিয়ে আমি তা পরিপূর্ণ করবো। জনগণ বার বার আমার প্রতি তাদের মূল্যবান সমর্থন দিয়েছেন। তাদের সমর্থনের মূল্য ও সম্মান রাখতে চাই।

তিনি বলেন, হাওরে অনেকগুলো উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি। কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, অবহেলা, আত্মসাৎ ও তসরূপের বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হাওরের চেহারা বদলে যাবে। যোগাযোগ, বিদ্যুতায়ন, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পশ্চাৎপদ হাওর দেশের অন্যান্য উন্নত স্থানের সমপর্যায়ে চলে আসবে।’
বৃহত্তর কিশোরগঞ্জের ৪০ ভাগ এলাকা তার নির্বাচনী এলাকার অংশ। জলমগ্ন, নিচু, কৃষিভিত্তিক হাওর এলাকাটি মিশে আছে পাশের নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সঙ্গে। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, সুবিধা বঞ্চিত এলাকা ও জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন।
আলাপকালে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক বলেন, শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করে নৈসর্গিক হাওরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর, পরিবেশ-বান্ধব ও নিরাপদ জনপদ করতে চাই। পরিবেশ রক্ষা, প্রাণবৈচিত্র সংরক্ষণ, অতিথি পাখিদের নিরাপত্তা বিধান, মৎস্য সম্পদের বিকাশ করে অপার সম্ভাবনার হাওরাঞ্চল গড়ে তোলাই আমার স্বপ্ন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হাওরের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্ন সফল করাই আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।’
ইতোমধ্যে গবেষণা ও সম্ভাবনা অনুসন্ধান করার জন্য ‘হাওর ও চর উন্নয়ন ইন্সটিটিউট’ হয়েছে। হাওরে রাস্তাঘাট নির্মাণে বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে। যেখানে যেতে একদিন সময় লাগতো, সে দুর্গম এলাকায় কয়েক ঘণ্টায় যাওয়া যাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন জলমগ্ন গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোজন দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার বিগত দিনের শাসনকালে হাওরের ইতিবাচক রূপান্তর সকলকে আশাবাদী করেছে।
মাসের অধিকাংশ সময়ই তিনি অবস্থান করেন হাওরাঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ও জনপদে। রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও পায়ে হেটে ঘুরে বেড়ান মাঠে, নদীতে, বাড়িতে বাড়িতে। মানুষের সুখ, দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা সরাসরি শুনেন। তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করে দিতে চেষ্টা করেন।
হাওর উন্নয়নের রূপকার, সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পথ অনুসরণ করে বর্তমান এমপি ও রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক উন্নয়নমুখী কর্মযজ্ঞের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
কালের আলো/এএ/এমএইএ