কালের আলো ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। সারাদেশে ৩০০ আসনে মোট ৩০৬৫টি পূর্ণাঙ্গ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২৯৫ আসনে সর্বোচ্চ বিএনপির ৬৯৬টি মনোনয়পত্র দাখিল করা হয়েছে। ২৬৪টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৮১টি। নিবন্ধিত ৩৯টি দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের ২৮১টি, বিএনপির ৬৯৬টি, জাতীয় পার্টির ২৩৩টি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ১৩৫৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে মোট ২৫৬৭টি। এর বাইরে স্বতন্ত্র ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৩০৬৫।

গত বুধবার ইসি থেকে দেওয়া হিসাবের চেয়ে মনোনয়নপত্র বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, দ্রুততার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হিসাবে সমস্যা হওয়ায় এমনটি হয়েছে। এ ছাড়া কিছু প্রার্থী দলের মনোনয়ন না পেলেও দলের পরিচয় দিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ কারণেও হিসাবের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে।

যারা দলের কাছ থেকে মনোনয়ন না পেয়েও দলের কথা বলে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন তাদের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, যারা এমনটি করেছেন তাদের আমরা প্রার্থী হিসেব কাউন্ট করিনি। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ২৬৪টি আসনে আওয়ামী লীগের নামে ২৮১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বিএনপির নামে ৬৯৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৯৫টি আসনে। অর্থাৎ ৩৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এখনই নেই। এসব আসন জোটের অন্য দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়া নিশ্চিত। আবার ১৭টি আসনে দলের প্রত্যয়ন নিয়ে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের ফাঁকা আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩; নীলফামারী-৩ ও ৪; লালমনিরহাট-৩; রংপুর-১ ও ৩; কুড়িগ্রাম-২; গাইবান্ধা-১; বগুড়া-২, ৩, ৪, ৬ ও ৭; রাজশাহী-২; কুষ্টিয়া-২; বরিশাল-৩ ও ৬; পিরোজপুর-২ ও ৩; ময়মনসিংহ-৪ ও ৮; কিশোরগঞ্জ-৩; মুন্সীগঞ্জ-১; ঢাকা-৪, ৬ ও ৮; নারায়ণগঞ্জ-৫; সুনামগঞ্জ-৪; সিলেট-২; মৌলভীবাজার-২; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২; ফেনী-১ ও ৩; লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-২ ও ৫।

বিএনপির ফাঁকা আসন

টাঙ্গাইল-৮, মৌলভীবাজার-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষ্মীপুর-৪ ও চট্টগ্রাম-১৪।

অন্য দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্রদের নামে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে জেপির ১৭টি, সাম্যবাদী দলের ৩টি, গণতন্ত্রী পার্টির আটটি, ন্যাপের ১৪টি, ওয়ার্কার্স পার্টির ৩৩টি, জাসদের ৫৩টি, তরীকত ফেডারেশনের ২০টি এবং বিকল্পধারার ৩৭টি। এ ছাড়া জাকের পার্টি ১০৮টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

বিএনপির রাজনৈতিক মিত্রদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে গণফোরামের ৬১টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩৭টি, জেএসডির ৫১টি, এলডিপির ১৫টি, বিজেপির ১১টি, এনপিপির ৯০টি, জাগপার ৬টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১৩টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪৯টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ১৫টি, কল্যাণ পার্টির ৫টি।

এ ছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিপিবির ৭৭টি, বাসদের ৪৯টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ৩০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের ৩২টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ১২টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৯টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ২১টি, খেলাফত মজলিসের ১২টি, বিএমএলের ১৭টি, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ১টি, বিএনএফের ৭১টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে।

কালের আলো/বিপি/এমএইচএ