দেওয়া হলো কাজের স্বীকৃতি, ইনসিগনিয়া পরিয়ে দিলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিতঃ 6:23 pm | August 23, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সেনাবাহিনীতে প্রশংসনীয় কাজের জন্য ২০ জন সেনাসদস্যকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রশংসাপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সাথে তাদের ইনসিগনিয়া পরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড. এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা সেনানিবাসস্থ মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে দুই জন আভিযানিক সফলতার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত শুদ্ধাচার চর্চাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এ বছর সর্বমোট ২৫৭ জন জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার প্রাপ্ত হয়।

এদিন ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কার প্রাপ্ত ১১ জন সেনাসদস্য ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত অসামরিক ব্যক্তিদের ক্রেষ্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন সেনাপ্রধান।

এ সময় ড. এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অসামান্য কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি প্রাপ্ত সেনাসদস্যদের অত্যন্ত উচু মনোবল, কর্মস্পৃহা, দেশপ্রেম এবং দায়িত্বের প্রতি অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, তাদের এই স্পৃহা সকলের জন্য পাথেয়। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের এই ধরনের অনুকরণীয় কাজের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র ও ইনসিগনিয়া এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

এ সময় সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদবীর অফিসার, জেসিও ও সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একইদিনে সেনাবাহিনী প্রধান মিরপুর ডিওএইচএস এ নবনির্মিত কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিওএইচএস পরিষদের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর ডিওএইচএস কালচারাল সেন্টারটিতে ব্যাংক, কনভেনশন হল, উন্নত চিকিৎসা সুবিধা, কর্পোরেট অফিস, জিমনেশিয়াম, সেলুন, পার্লার, ক্যাফে, ই-গেমিং জোনসহ সকল আধুনিক নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে যা এই এলাকায় বসবাসরত জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম