চবিতে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৪
প্রকাশিতঃ 10:38 am | July 23, 2022

কালের আলো প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯ টায় র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আফসার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বেলা ১১টায় বিস্তারিত ব্রিফিং করবেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।
এর আগে শুক্রবার রাত ১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালানো হয়। জড়িতদের একজন হলে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গত ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার রাস্তায় যৌন নির্যাতনের শিকার হন এক ছাত্রী। পাঁচ তরুণ তাকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। এতে অজ্ঞাতনামা পাঁচ জনকে আসামি করা হয়।
এই ঘটনায় নানা আলোচনার মধ্যে গত ১৯ জুলাই (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০ জুলাই মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন হলের ছাত্রীরা।
এদিকে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনকে ধরতে শুক্রবার রাতে আবাসিক শাহ আমানত হলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি। রাত ১টায় অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় রাত ২টার দিকে। ঘণ্টাব্যাপী চলা অভিযানে বিভিন্ন থানার ৮০ জন পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রী সময় ও জায়গার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। এ কারণে জড়িতদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। পরে ছাত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের একজনের নাম মেহেদী হাসান ও আরেকজন আজিম হোসাইন। তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।’
কালের আলো/এসবি/এমএম