বিজিবিতে যুক্ত হলো অত্যাধুনিক চার জলযান

প্রকাশিতঃ 7:28 pm | June 03, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যুক্ত হলো চারটি অত্যাধুনিক দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারসেপটর জলযান।

বুধবার (০৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়,বিজিবি জানায়, সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ হর্সপাওয়ারের তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সৈন্য ধারণে সক্ষম এবং এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ নেটিক্যাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার। এই জলযানগুলো যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম।

এতে সংযোজিত আছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম (রাডার), চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস, আধুনিক সোনার সিস্টেম এবং আরও অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। এই জলযানগুলো নিজস্ব অবস্থান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রু জলযানের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এই জলযানগুলোতে দুইজন মুমূর্ষ রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সাথে ১৮০ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত এবং মিয়ানমারের সাথে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ ও টহল করে। এ ছাড়া ২০১৯ সাল হতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত হয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সীমান্তবর্তী নাফ নদী। আন্তঃদেশীয় অপরাধীদের নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন, মানবপাচার, চোরাচালান, ইয়াবাসহ মাদক পাচারে চোরাকারবারিদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি এবং চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

অপরদিকে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাতক্ষীরার নীলডুমুরের সুন্দরবন অংশের গহীন অরণ্যের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমান্ত এলাকায়ও অনুরূপ চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বিজিবি জানায়, বাংলাদেশের নৌ সীমান্তে বিশেষ করে মিয়ানমার সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নাফ নদী এবং ভারত সীমান্তের নীলডুমুরে ও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জলসীমান্তে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবির সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে।

তাই, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, বাংলাদেশে বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য বিজিবিতে সংযোজিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ জলযানগুলো দেশের সীমান্ত এলাকার নদী পথগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ করে সীমান্ত অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ মাদক পাচার ও চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

কালের আলো/এসএম/বিআর