ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সশস্ত্র বাহিনী

প্রকাশিতঃ 10:41 pm | May 21, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার(২১ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

সেনাবাহিনী

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দিক-নির্দেশনায় আগে থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করছে।

এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল স্বল্প সময়ে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিমও প্রস্তুত। ঘূর্ণিঝড় কবলিত বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত আছে ১২ হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী।

এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজারও প্রস্তুত।

নৌবাহিনী

আইএসপিআর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ভোলা ও হাতিয়ায় দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে।

অন্যদিকে খুলনা নৌঅঞ্চল থেকে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তা জন্য ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি ডাইভিং টিম সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

বিমান বাহিনী

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার, একটি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টার ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, নোয়াখালী, ঝালকাঠী, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে দ্রুততার সঙ্গে পাঠানো হয়। পরিদর্শন শেষে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বাস্তবচিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়।

এছাড়াও বিমান বাহিনীর ১১৯ সদস্যের (চার কর্মকর্তা, ৮১ বিমানসেনা ও ৩৪ অসামরিক সদস্য) একটি টিম আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিমান বাহিনীর নিজস্ব পরিবহনে সাতক্ষীরায় গিয়েছে।

কালের আলো/এনএল/বিএমএফ

Print Friendly, PDF & Email