এই সমাজকে যারা ভেতর থেকে চেনেন তারা বুঝবেন এসব কথা

প্রকাশিতঃ 9:57 am | April 08, 2020

জুলহাস আলম :

ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় দেখছি রাস্তায় কাঠ ফেলে, বাঁশ বেঁধে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। যতোসব স্টুপিড আইডিয়া। হুজুগে বাঙালি।

ত্রাণ যাবে কেমনে, এম্বুলেন্স যাবে কেমনে? চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটলে পুলিশ যাবে কেমনে? পণ্য পরিবহণ, ওষুধ পরিবহণ, আর্মির গাড়ি যাবে কেমনে? জরুরি সেবা চলবে কিভাবে?

বৃদ্ধ কারো কথা ভেবেছেন? প্রসুতি নারীর কথা ভেবেছেন?

নির্জনতার সুযোগ নিয়ে জুয়ার পট বসবে বাজারে বাজারে, বিশৃংখলা বাড়বে, অপরাধ বাডবে। খুন, ধর্ষণ বাড়লে অবাক হবোনা একটুও।

এই সমাজকে যারা ভেতর থেকে চেনেন তারা বুঝবেন এসব কথা।

আজ দেখছি দলে দলে বাসার ছাদে গাদাগাদি করে দাঁডিয়ে নামাজ পড়ছে। ওখানে একজন আক্রান্ত থাকলে ঐ ২০ জন মানুষ সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে। ছাদ থেকে ঘরে যখন যাবে তখন পরিবারে থাকা বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান সকলে ঝুঁকিতে পডবে। বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। কমন সেন্স একটা বড় জিনিস। এরা কি বোঝেইনা যে, ঘরে থাকা কাকে বলে? কিভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস? বাইরে বাঁশ বেঁধে এসব করলে তো কোন কাজ হবেনা। দেশ ইতালি, ইরান বা আমেরিকার মতো ঝুঁকিতে পড়বে। সত্যি বলতে পড়েছে ঝুঁকিতে ইতোমধ্যে।

সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা কোথায়? কেবল সরকারি ত্রাণ দেবার সময় ছবি তুলেই চম্পট। তারা কেন পুলিশের সহযোগী হয়ে দল গঠন করে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে, রাতে, দিনে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করেননা? জনগণের পাশে থাকার নির্দেশতো দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আপনাদের নেতা। সত্যিই কি মানেন তার নির্দেশ? সত্যিই
কি ভালোবাসেন তাকে? সত্যিকারের নমুনা দেখান এবার, প্লিজ।

যারা গ্রামের বাজারে গিয়ে আড্ডা মারে, তারা কি তাদের বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বাজারে যায়? নাকি পায়ে হেঁটে যায়? বাঁশ বেঁধে, কাঠের ব্লক ফেললে তাদের কী আসে যায়? আটকে দেবার জন্য এমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার দরকার এমন একটা রোগীও যদি আপনাদের এসব কার্যক্রমের কারণে মারা যায়, তার দায় নেবে কে? বাজার থেকে ৫/১০ টা কে ধরে নিয়ে গেলেই সব ঠান্ডা হবে। আজও খবর পেলাম আইন ভেঙ্গে দলে দলে মাছ ধরতে যাচ্ছে বিলে, কয়টাকে ধরে নিলেই হয়, জরিমানা করলেই হয়।

লেখক: সাংবাদিক