কুড়িগ্রামের ডিসিকে প্রত্যাহার ও মামলার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিতঃ 3:00 pm | March 15, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গভীর রাতে বাসায় গিয়ে সাংবাদিককে আটকের পর ডিসি অফিসে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন ভ্রাম্যমাণ আদালতটা কতোটা জরুরি। কারণ তাৎক্ষণিকভাবে আমরা শাস্তি দিতে পারি।

রমজানে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, ভেজাল পণ্য বিক্রি করা হলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অনেক উপযোগী হিসেবে কাজ করে। কিছুদিন আগে গুজবের কারণ লবণের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারণে থেমেছে। কেউ কোনো অনাচার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমরা এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের যে বিতর্কটি সৃষ্টি হয়েছে অবশ্যই আমরা মাথায় রাখব।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাত ১২টার পর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট আনসার সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিক আরিফুলের বাড়িতে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করে স্ত্রী সন্তানের সামনেই মারধর করে ধরে নিয়ে আসেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

কালের আলো/এনআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email