চাল রফতানির কথা ভাবছে সরকার
প্রকাশিতঃ 10:14 pm | May 07, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বোরো চাল রফতানির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। ধান কাটা শেষ হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে চাল রফতানির অনুমতি দেয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে সারাদেশে ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে ৩৫ জেলার প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আছে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান।
মঙ্গলবার(৭ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত থাকায় ৫ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল রফতানির চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বোরো ধান কাটা হয়ে গেলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব এবার ৫-১০ লাখ টন চাল রফতানি করা যায় কিনা। এই চাল রফতানি করলে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারব, দেশের ভাবমূর্তিও বাড়বে। তবে চাল রফতানির পর কোনো কারণে সংকট দেখা দিলে আমদানিও করা যাবে বলে মত দেন কৃষিমন্ত্রী।
বর্তমানে ধান উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বোরো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আরও উদ্বৃত্ত হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উদ্বৃত্ত ধান রফতানি করতে পারব। তবে কতটুকু ধান বর্তমানে উদ্বৃত্ত আছে সংবাদ সম্মেলনে সে তথ্য জানাতে পারেননি রাজ্জাক। দেশে চাহিদার তুলনায় চালের মজুত বেশি এমন তথ্য তুলে ধরে গত ১৮ এপ্রিল বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে চাল রফতানির প্রস্তাব দিয়েছেন চালকল মালিকরা। চাল রফতানি না করলে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে বলেও যুক্তি দিয়েছেন তারা।
তাদের এ প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ধান-চালের উৎপাদন ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কালের আলো/আরআর/এমএইচ