ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু, বাইরে কালাজ্বর
প্রকাশিতঃ 11:47 am | July 08, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
দেশে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনা মহামারি সংক্রমণ। বেড়েই চলেছে মৃত্যুহার। সবাই যখন করোনা প্রতিরোধে ব্যস্ত এই ফাঁকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
হাসপাতালগুলো তাই এখন নির্দেশনা দেওয়া আছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী এলেই করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু টেস্টও করতে হবে। সাধারণ মানুষের প্রতিও স্বাস্থ্য বিভাগ বারবার সচেতনতামূলক বার্তা দিচ্ছে, কভিড টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এলে ডেঙ্গু টেস্ট করানোর জন্য। কিন্তু কোনো দিকেই তেমন ভ্রুক্ষেপ নেই। অথচ দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে চলছে। বিশেষ করে রাজধানীতে হঠাৎ বেড়ে গেছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার (৭ জুলাই) ভোরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর একটি হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে ৫৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বর্তমান হারে বাড়লে অবস্থার অবনতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম।
এছাড়া গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জনই রাজধানীর। এ ছাড়া মোট ১৩১ জন রোগী সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে ১২৮ জনই (৯৭ শতাংশ) ঢাকায়। বাকি মাত্র তিনজন ঢাকার বাইরে।
অন্যদিকে রাজধানীর কাছাকাছি কয়েকটি জেলায় দেখা দিয়েছে কালাজ্বরের প্রকোপ। গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে বেড়ে যায় কালাজ্বর। দুই বছর ধরে কালাজ্বরের বাহক বেলেমাছি নিধনে নেই কোনো কার্যক্রম।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮০ জন। চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২১৫ জন।
গত ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১ হাজার ১২টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে ২০৭টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল।
চিকিৎসকদের মতে, ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। করোনার মহামারির এই সময়ে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কেউ বুঝতে পারছে না। নীরবেই বাড়ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির দিকে এখনই নজর দেওয়া না হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে।
কালের আলো/এসবি/এনএল/