বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা ও গৌরব অক্ষুন্ন রাখতে হবে : আইজিপি

প্রকাশিতঃ 7:15 pm | September 17, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ও গৌরব অক্ষুন্ন রাখার জন্য পুলিশ সদস্যদেরকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে আহবান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী পুলিশ সদস্যরা বাংলাদেশের দূত। আপনারা প্রত্যেকে একখন্ড বাংলাদেশ।

বিদেশের মাটিতে দেশকে তুলে ধরা, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের মর্যাদা হানিকর কোন কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য তিনি ‘ব্লু হেলমেট’ পরিহিত পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি গামী দুটি কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রি-ডেপ্লয়মেন্ট ব্রিফিংকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলাবোধ ও উঁচুমানের নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে। জাতিসংঘের ম্যান্ডেট অনুযায়ী মিশন এলাকার জনগণের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তিনি পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো: মহসিন হোসেন এনডিসি, ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) এস এম রুহুল আমিন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

মালি-১ ও মালি-২ এ দুটি কন্টিনজেন্টের প্রতিটিতে ১৪০ জন করে মোট ২৮০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। মালি-১ কন্টিনজেন্টের কমান্ডারের দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন এবং মালি-২ কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আল মামুন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা সূচিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ গত প্রায় ৩০ বছর ধরে বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় অত্যন্ত সুনাম ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশ পুলিশের ১৮ হাজার ৪২২ জন সদস্য ইতোমধ্যে সফলতার সাথে শান্তিরক্ষা মিশন শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী ২০ জন নির্ভীক পুলিশ সদস্য বিশ্ববাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।

কালের আলো/এএ

Print Friendly, PDF & Email