তৃতীয় সি-১৩০ পরিবহন বিমান সংযোজন, বিমান বাহিনীর পরিবহন সক্ষমতা বিশ্বমানে

প্রকাশিতঃ 8:21 pm | September 17, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি সুসজ্জিত, শক্তিশালী ও দক্ষ বাহিনীতে পরিণত করার কার্যকর সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বিমান বাহিনীকে নিরাপদ, গতিশীল ও নিজেদের সক্ষমতা বিশ্বমানে উন্নীত করতে এবার বাহিনীটির বহরে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি তৃতীয় সি-১৩০ জে বিমান।

অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন এই পরিবহন বিমান মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে।

বিমান বাহিনীর পরিবহন ক্ষমতা আরও বাড়াতে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় সি-১৩০ জে বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব বৈমানিকের মাধ্যমে সফল ফেরী ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’তে অবতরণ করে।

পরে বিমান বাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’তে ঐতিহ্যগত রীতি মোতাবেক বিমানটিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এইচ ই রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী অত্যাধুনিক ৫টি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান এই বাহিনীতে সংযোজনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

আর এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সাথে ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এ্যারোস্পেস এন্ড ডিফেন্স গ্রুপের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সংযোজনের কার্যক্রম চলছে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিকে ধারণ করে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নত যুদ্ধকৌশল, দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যুগোপযোগী ও অত্যাধুনিক যুদ্ধের বিভিন্ন উপকরণ সংযোজিত হয়েছে।

একই সূত্র কালের আলোকে আরও জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সর্বাধুনিক ও অগ্রসর বাহিনীতে পরিণত করতে দক্ষতার সঙ্গেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাহিনীটির প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অতীতের ধারাবাহিকতায় তিনি বিমান বাহিনীকে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে রূপ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় সি-১৩০ জে বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’তে অবতরণের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর পরিবহন ক্ষমতা ও সক্ষমতাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরে গণমাধ্যম কর্মীদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে বিমান সদরের বিভিন্ন প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও বাশার এর এয়ার অধিনায়ক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, তৃতীয় সি-১৩০জে বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে সফল ফেরী ফ্লাইটের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু’তে অবতরণের মিশনের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. আহসানুর রহমান। যাত্রাপথে বিমানটি কায়রো (মিশর) ও মাসকাটেও (ওমান) অবতরণ করে।

একই সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্য থেকে পর্যায়ক্রমে আরও অত্যাধুনিক ৪টি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

কালের আলো/এমসি/এমএ

Print Friendly, PDF & Email