কাদেরের হস্তক্ষেপে সমাবেশের দরজা খুলে দেয়া হয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 10:43 pm | January 03, 2018
বিশেষ প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে ছাত্রদলের অনুষ্ঠানের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “মিলনায়তনের ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষই দরজা বন্ধ রেখেছিল। পরে ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে দরজা খুলে দেয়া হয়।”
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
মঙ্গলবার ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। আগে থেকেই অনুমতি নেয়া ছিল। কিন্তু সকাল থেকেই মিলনায়তনে তালা লাগিয়ে রাখা হয়। ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিলনায়তনে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সেখানে যান। তখনও মিলনায়তন বন্ধ ছিল। খালেদা জিয়া সেখানে গাড়ির মধ্যে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পর মিলনায়তন খুলে দেয়া হয়। পরে তিনি সেখানে বক্তব্য দেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি এসব কিছু বোঝেন না, না বুঝে যখন যা খুশি তাই বলেন। তিনি যেটুকু বুঝেছেন সেটুকু বলেছেন। তাই তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে আমি আর কী বলবো?”
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে বলেন, “জোড়াতালি দিয়ে পদ্মাসেতু বানানো হচ্ছে। এই সেতুতে ঝুঁকি আছে।”
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠিাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানস্থল তালাবদ্ধ থাকার প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী জানান, মিলনায়তনের ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষই দরজা বন্ধ রেখেছিলো। পরে ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে দরজা খুলে দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভা সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রসঙ্গটি উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তালাবন্ধ থাকার ঘটনাটি জানার পর আমি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানাই। এটা কেন হচ্ছে, এতে সরকারের সমালোচনা হবে। বিষয়টি তাকে দেখতে বলি। ওবায়দুল কাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি সঙ্গে কথা বলেন। কেন মিলনায়তনের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে, এতে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ ওবায়দুল কাদেরকে জানায়- ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি বলে দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের তখন তাদের বলেছে ভাড়ার টাকা পরিশোধ হয়েছে কি হয়নি সেটা পরে দেখা যাবে, তাদের যেহেতু ভাড়া দেয়া হয়েছে তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিন। এটা নিয়ে সরকারের সমালোচনা হবে। এরপর দরজা খুলে দেয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ।