মানিকগঞ্জে পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার, সন্ধান মেলেনি আসামির

প্রকাশিতঃ 9:35 am | April 21, 2018

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের আলো:

মাদক মালার আসামী ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশের কনস্টেবল শাহিনুর রহমান শাহিন (৩৫) কে ২০ ঘন্টা পর কালিগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

লাশ উদ্ধারের পর কালিগঙ্গার পাড়ে স্বজনদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। তবে মাদক মামলার আসামী আঃ সালামের কোন সন্ধান শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান ,সদর উপজেলার জয়নগর গ্রামের মাদক মালালার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুস সালমকে ধরতে বৃহস্পতিবার বিকালে মানিকগঞ্জ সদর থানার এ এস আই রফিকুল ইসলাম ও কনস্ট্রেবল শাহিনুর রহমান শাহিন অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের আসামী আব্দুস সালাম দৌড়ে পালাতে গিয়ে পাশ্ববর্তী কালিগঙ্গা নদীতে ঝাপ দেয়। এসময় কনস্টেবল শাহিনও তাকে ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য নদীতে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। পরে মানিকগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাতেই নদীতে উদ্ধার তৎপরাতা চালায়। পারদর্শী ডুবুরী দল না থাকায় ঢাকা থেকে ৫ জন ডুবুরী আনা হলে তারা রাতভর উদ্ধার তৎপরতা চালালেও নিখোঁজ পুলিশ সদস্য ও আসামীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ ২০ পর অবশেষে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদস্য শাহিনুর রহমান শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরী দল। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালায়। ডুবুরী কাজে আমাদের এখানে পারদর্শী কোন সদস্য না থাক্য়া রাতেই ঢাকা থেকে ডুবুরী দল আনা হয়। ভোর রাত সাড়ে তিনটা থেকে ঢাকার ডুবুরীরা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্ত নদীর কোন ষ্পটে পুলিশ সদস্য ও আসামী ঝাপ দিয়েছে তা সনাক্ত কেই করতে পারেনি। তাই উদ্ধার কাজ সঠিক ভাবে করা সম্ভব হয়নি। পরে নদীর বিভিন্ন জায়গা তল্লাশী চালানো হলে দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুলিশ সদস্যর লাশ আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

নিহত পুলিশ সদস্যর ছোট ভাই মো. শামীম বলেন, মাত্র একদিন আগে আমার ভাই বাড়িতে গিয়েছিল আমাদের সাথে দেখা করার জন্য। ওটাই ছিল তার শেষ দেখা। ২০০৬ সালে সে পুলিশের চাকুরী পায়। চাকুরী পাওয়া বছর কয়েক পর বিয়ে করেন। তার ঘরে ৬ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। আবার ভাবী এখন অন্তস্বত্ব। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ছিলেন পরিবারের সবার বড় আমার এই ভাই। এখন কিভাবে সংসার চলবে। ভাবী-বাচ্চাদের ভবিষ্যত কি হবে বলেই কেঁদে উঠেন ছোট ভাই শামীম।

 

কালের আলো/ভিকু/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email