জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 12:00 pm | September 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের জীব বৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই বিপর্যয় মোকাবিলায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মহাসাগরের সম্পদ রক্ষায় আমরা যত বেশি পদক্ষেপ নেবো, তা আমাদের জন্য তত ভালো ফল বয়ে আনবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্লু ইকোনমি মিনিস্টেরিয়াল কনফান্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্মেলন শেষে ঢাকা ঘোষণা হবে। আমরা সবার জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলবো— এ অঙ্গীকার এ ঘোষণায় থাকবে। আশা করি, সবার জন্য কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে সম্মেলন সফল হবে।

তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণ, পরিবেশ দূষণ, তেল নিঃসরণ, প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা দূষণ, শব্দ দূষণ ও সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তন এসবের অন্যতম কারণ। এরফলে সাগর/মহাসাগরের উষ্ণতা বাড়ছে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

‘শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ আইওআরএ (IORA) সদস্যভুক্ত দেশগুলো সুনামি ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারাও আক্রান্ত হয়।’

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎকে বিপদগ্রস্ত করে তুলছে এবং মানবজাতিকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আসন্ন বিপর্যয় মোকাবিলায় সবাই মিলে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাগর ও মহাসাগর গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের প্রায় ৯০ শতাংশই শোষণ করে। Marine Ecology (সমুদ্র বাস্তুতন্ত্র) ধ্বংস হলে মানবজাতির অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে।

‘অতিসত্বর সবাই মিলে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাবনাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে টেকসই সমুদ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্লু ইকোনমি মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) এ কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। বিশ্বের ৩১ দেশের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নিচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোট আইওআরএর এটি তৃতীয় আঞ্চলিক সম্মেলন। সম্মেলনের সার্বিক আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিট। এটি ঢাকায় গত বছরের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের পর মন্ত্রীপর্যায়ের দ্বিতীয় বড় আয়োজন। এতে ২২ সদস্য রাষ্ট্র এবং ৯টি ডায়ালগ পার্টনারসহ মোট ৩১ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন।

কালের আলো/বিএএ/এমএইচএ