মহাসড়ক থেকেও টোল আদায়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 4:19 pm | September 03, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ব্রিজ, সেতুর পাশাপাশি জাতীয় মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে টোল আদায় করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, এই টোলের অর্থ সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বর্তমান সরকারের ১৪তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে যানবাহন খাতে যাতে লোড টেম্পারিং না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। লোড সিস্টেম কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে। এটা অটো অপারেট করতে হবে।

তিনি বলেন, সড়কে চলার সময় বাসে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। ট্রাকের ক্ষেত্রে যেন ওভারলোড না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার বাইরে সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। যাতে মানুষ ঢাকামুখী না হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ব্রিজে আমরা টোল নিই। সড়ক নয়, জাতীয় মহাসড়কগুলোতে থাকা (যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক) ব্রিজ ছাড়াও রাস্তার ওপর টোল বসানো হবে। সারাবিশ্বে তাই আছে। টোলে কত টাকা নির্ধারণ হবে, সেটা ঠিক করব এখন। কারণ এইভাবে আর পারা যাবে না।

বর্তমান সরকারপ্রধানের নির্দেশ তুলে ধরে এম এ মান্নান আরও বলেন, এই টাকা ব্যয় করা হবে রাস্তা মেরামতে। পশ্চিমা দেশে এটা খুবই জনপ্রিয়। এটাকে তারা বলে ‘ইউজার পেইড’ বা ব্যবহার করেন, পেমেন্ট করেন। এই টোলের টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে যাবে। এগুলো রাস্তার মেরামতে ব্যয় করা হবে।

কীভাবে টোল আদায় হবে তা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমরা যেটা দেখেছি, সেকশন সেকশন হয়। ধরুন, ২০০ মাইল রাস্তা। প্রত্যেক ৫০ মাইল রাস্তায় একটা গেট থাকে। স্থানীয় গাড়িগুলো ১০ মাইল গিয়ে আরেক রাস্তায় গেলে টোল আসবে না। লং ডিসটেন্স ট্রাভেলারদের (দূরবর্তী যানবাহন) জন্য এটা হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করবে আমাদের প্রকৌশলীরা।

এখানে অযৌক্তিক কিছু হবে না বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

কালের আলো/বিআর/এমএম