ড. জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত, আটক ১

প্রকাশিতঃ 8:01 pm | March 03, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করেছে এক যুবক।

শনিবার বিকেলে শাবি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। চিকিৎসরা বলছে, তিনি শঙ্কামুক্ত।

অপরদিকে ছুরিকাঘাতকারী যুবককে আটক করেছে ছাত্ররা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।

সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত লেখক ও শিক্ষাবিদ এবং শাবিপ্রবি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে হঠাৎ মঞ্চের পেছন দিক থেকে এক দুর্বৃত্ত ড. জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওসমানী পর্যন্ত নেওয়ার সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ফলে প্রয়োজন পড়ে রক্তের। অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের রক্তের গ্রুপ এ পেজেটিভ (এ+)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র মিজান জানান, এ পজেটিভ রক্তও সংগ্রহ করা হয়েছে।

হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটে আহত ড. জাফর ইকবালকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অপারেশন চলছে।

এদিকে হাসপাতালের সামনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয় স্যারের জন্য। আবার প্রিয় শিক্ষকের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে।

এদিকে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত ওই যুবককে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে আটকে রাখা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জ্যোর্তিময় সরকার তপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত যুবককে অ্যাকাডেমিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। আমরাও ঘটনাস্থলে আছি।

‌তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ২ মার্চ ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভালের উদ্বোধন করেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের আরো কঠিন শাস্তি ও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে বক্তব্য দেন।

এর জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

 

কালের আলো/এমএস/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email