শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে প্রচারণা নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা

প্রকাশিতঃ 11:50 am | September 09, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে হঠাৎ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে এই উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত মাঠে নামে প্রক্টরিয়াল টিম ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন দেখা যায়, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েকজন প্রার্থী সরাসরি ভোট চাচ্ছিলেন। এ সময় অন্য পক্ষের লোকজন বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

তবে অভিযুক্ত পক্ষ দাবি করে, তারা কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমা মান্য করেই, অর্থাৎ ১০০ গজ দূরত্ব বজায় রেখে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন, আমরা নিয়ম ভাঙিনি।

ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রকার প্রচারণা নিষিদ্ধ। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে একই কেন্দ্রের ভোটারদের লাইনে দেখা যায় বিশৃঙ্খলার চিত্র। নিয়ম মেনে না দাঁড়ানো, আগে ভোট দিতে চাওয়ার মতো আচরণে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন। ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন মোট ৪৭১ জন। আর হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য লড়ছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে ৪১টি পদে ভোট দিতে হচ্ছে।

ডাকসুতে এবার অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বাগছাস, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন মতাদর্শভিত্তিক জোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

কালের আলো/এসআর/এএএন