কাঠমুন্ডুগামী বিমানে বোমা আতঙ্ক: ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে ফোন করেন মা

প্রকাশিতঃ 2:13 pm | July 12, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে ঢাকা-কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে বোমা আতঙ্ক ছড়ানো হয়। বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে ওই ছেলের মা আতঙ্ক ছড়ান বলে জানায় র‍্যাব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান।

তিনি জানান, এই ঘটনায় ইমন নামের ওই ছেলের মা রাশেদা বেগম, স্ত্রী তাহমিনা ও বন্ধু ইমরানকে হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে র‍্যাব-১ ও সেনাাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বোমা আছে এমন একটি ফোন কল করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। যার ফলে ওই বিমানে যাত্রা স্থগিত করা হয় এবং তিন থেকে চার ঘণ্টার তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় জাতীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতিপূর্বেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। টেলিফোনের মাধ্যমে বোমার খবর দেওয়া হয় পরবর্তী তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর পরই আমরা অনুসন্ধানে নামি, সারারাত অভিযান পরিচালনা করে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ইমন নামের এক ব্যক্তি পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে এই ফ্লাইটে করে নেপাল যাচ্ছিলেন। বিষয়টি ইমনের মা ও তার স্ত্রী জানতে পারেন এবং তার যাত্রা বন্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তারা কোনভাবে সক্ষম হয়নি। তখন ইমনেরই আরেক বন্ধু ইমরান তাদের পরামর্শ দেন যদি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে জানানো হয় বিমানে বোমা আছে, তাহলে যাত্রাটা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। সে অনুযায়ী ইমনের মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে বিমানে বোমা আছে এই তথ্য জানান।

ডিজি আরও বলেন, এই বিষয়ে আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই এটি একটি ঘৃণিত কাজ। এসব কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে‌ এবং আমাদের জাতীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। কোনভাবেই যেন এই ধরনের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে গ্রহণ করা না হয়। তারপরও গ্রহণ করলে কঠিন শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।

কালের আলো/এএএন