এলজিইডির ৮২ সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের রুল
প্রকাশিতঃ 9:44 am | July 02, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডির) ৮২ জন সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ দিতে জারি করা ২০০৬ সালের বিজ্ঞপ্তি কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (০২ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি জানান, ২৯ জুন বিচারপতি শেখ আব্দুল আওয়াল ও বিচারপতি মো. মুনছুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০০৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ‘দৈনিক ইনকিলাব’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিপিএসসি ১৫৪টি সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগের ঘোষণা দেয়। তবে দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১২ সালের মার্চে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এই ছয় বছরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা হাজার হাজার প্রকৌশলী আবেদন করতে পারেননি। কারণ পুনঃবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। ফলে ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যারা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তারা নিয়োগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হন।
এ প্রেক্ষিতে একজন বঞ্চিত প্রকৌশলী সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং-৮৭২৭/২০২৫) দায়ের করেন।
আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৩ সালের ১০ জুন, ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে জারিকৃত নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনগুলো কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আদালত ছয় মাসের মধ্যে রিটকারীর লিখিত আবেদন আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১,৮৩৩ জন, যার মধ্যে বৈধ আবেদন ছিল ১,৫১৮টি। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৫২ জন এবং উত্তীর্ণ হন মাত্র ১৬২ জন। এক পদে উত্তীর্ণ হন গড়ে একজন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১২৭ জন এবং সবাই কৃতকার্য হন। পরে তৈরি হয় ৭৮ জনের একটি প্যানেল।
পিএসসির সুপারিশে ২০১৩ সালে ৫২ জন নিয়োগ পেলেও ২০১৬ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাড়ে তিন বছর পর আরও ৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে অনেকে প্যানেলের বাইরে ছিলেন। এতে করে পিএসসি ও এলজিইডি’র মধ্যে ‘সিন্ডিকেট’ ও অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে।
রিটকারীর আইনজীবী বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানে নির্ধারিত মৌলিক অধিকার অনুযায়ী, যেকোনো উপযুক্ত, বঞ্চিত ব্যক্তি আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতে আসতে পারেন। এই রিটে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাও আইনজীবীর মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন।”
কালের আলো/এমডিএইচ