‘মার্চ টু সচিবালয়’ আপাতত স্থগিত, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিনিধি দল

প্রকাশিতঃ 1:19 pm | June 22, 2025

ঢাবি প্রতিবেদক, কালের আলো:

২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সকল বিডিআর সদস্যদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনরতদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করে ৯ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে গেছেন।

রোববার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রোকসেদ আলম প্রধান রিয়াল সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ৩ দফা দাবি আদায়ে জড়ো হন সাবেক বিডিআর সদস্যরা। তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা করেছিলেন।

সাবেক বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ রোকসেদ আলম প্রধান রিয়াল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি আজ আমাদের প্রতিনিধি দল সরকারের সঙ্গে কথা বলে একটি সন্তোষজনক ফলাফল নিয়ে আসবে। আর যদি ফলাফল সন্তোষজনক না হয় আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। এমনকি মার্চ টু সচিবালয়ও হতে পারে।

সাবেক বিডিআর সৈনিক জসীম উদ্দীন বলেন, ‘আমি ৪ বছর বিনা দোষে জেল খেটেছি। আমি আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিগুলো আজকে মেনে নেবেন।’

বিডিআর আন্দোলনের ৩ দফা দাবি:

১. পিলখানাসহ সারা দেশের বিডিআর ইউনিটসমূহে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিবাচক্কর, সাদারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচ সহ) সকল বিডিআর সদস্যদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিন্টারে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সকল বিধিনিষেধ নিষিদ্ধ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (৫) রায়টি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্য পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মিথ্যা সাক্ষীর স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরুপায় বিডিআর সদস্যদের মুক্তি প্রদান করতে হবে।

৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসকল ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদেরকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা প্রসঙ্গে তাদের সকলকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।

কালের আলো/এএএন