নুসরাত হত্যায় এসপিসহ চার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিতঃ 8:57 am | May 01, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট দফতরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে ফেনীর চার পুলিশ কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দফতর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন এ তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিয়েছেন।

ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বিষয়েও বলা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন বলেন, সম্পূর্ণ চাপমুক্ত থেকে তারা তদন্ত করেছেন। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কারও নামই বাদ দেওয়া হয়নি। পুলিশ প্রশাসনের চার সদস্যসহ প্রশাসনের পাঁচজনের কথা বলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, নিহত নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম শ্রেণির আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষের ভাগ্নি পপি।

সেখানে আরও কয়েকজন মিলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

কালের আলো/এনএল/এমএইচএ