পরের ম্যাচে অন্য খেলা দেখাবেন আনচেলত্তি
প্রকাশিতঃ 3:59 pm | June 06, 2025

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:
অনেক বড় মুখ করে তাকে আনা হয়েছে ব্রাজিলে কোচ করে। অথচ প্রথম ম্যাচেই ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোল শুন্য ড্র করেছে আনচেলত্তির ব্রাজিল। স্বপ্নের মতো যাত্রা শুরুর যে আশা করেছিল সমর্থকরা তাতে নিশ্চিত ভাবে ধাক্কা খেয়েছে।
অবশ্য এতে হতাশ নন ব্রাজিলের ইতালিয়ান কোচ। ‘আমাদের অনেক বিশ্বমানের ফুটবলার রয়েছে। তবে প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পায়নি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি পরের ম্যাচে আমাদের কাছ থেকে আক্রমনাত্মক ফুটবল দেখতে পাবে সমর্থকরা। ইকুয়েডরের বিপক্ষে আমরা রাফিনিয়াকে মিস করেছি। ঘরের মাঠে পরের ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে অন্যরকম খেলা হবে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে আমাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। যেটা আমরা পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে আশা করছি।’
ইকুয়েডরের কাছে পয়েন্ট খোয়ানোর পর আনচলত্তি এখন তাকিয়ে ১১ জুন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটির দিকে। এই মুহুর্তে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল। হাতে থাকা তিনটি ম্যাচের পর তালিকার ছয় নম্বরে থাকতে পারলেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত। সেই সম্ভবনাও প্রবল।
তবে ব্রাজিলের যে খেলার মান তা নিয়েই সমর্থকরা চিন্তিত। বিশেষ করে এদিন ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলমুখে মাত্র তিনটি শট নিতে পেরেছিল ব্রাজিল। বল দখলও ইকুয়েডের চেয়ে কম ৪৮ শতাংশ। রির্চালিসন কিম্বা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কম্বিনেশনেও ছন্দ দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকদের কাছে অনেক কিছুরও ব্যাখা দিতে হয় আনচলত্তিকে। ‘আক্রমনে আমাদের ধার দেখা যায়নি, তাছাড়া ইকুয়েডরের ডিফেন্সও ছিল শক্তিশালি। বল চ্যালেঞ্জিং কিম্বা লাইনের ধারে জায়গা করতে দেয়নি তারা। তবে আমি কোন অজুহাত দাড় করাতে চাই না, শুধু এটুকু বলতে চাই এন্ড কন্ডিশনে খেলাটা সহজ ছিল না।’
সারা জীবন ইউরোপে কোচিং করিয়েছেন, প্রায় ১৮০০ ক্লাব ম্যাচে তিনি কোচ ছিলেন। কিন্তু এবারই প্রথম আর্ন্তজাতিক ম্যাচে ডাগআউটে দাড়ালেন। ইউরোপ আর লাতিনের কন্ডিশনে কতটা পার্থক্য দেখলেন তিনি? জানতে চেয়েছিলেন এক স্থানীয় সাংবাদিক। ‘এখানকার সার্বিক পরিবেশ অসাধারন। দর্শকরা তাদের দলকে আবেগ দিয়ে সমর্থন করে। সব কিছুই উচু পর্যায়ে। আশা করছি পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে আমরা এই সমর্থনটাই পাবো।’
তাহলে কি ঘরের মাঠ ইকুয়েডর বাড়তি সুবিধা পেয়েছে গ্যালারির? ‘আমি জানি না। তবে মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের লম্বা সফর করে এখানে আসতে হয়েছে। যদিও শারীরিক ভাবে সবাইকে ফিট মনে হয়েছে। তবে মাঠে আমাদের আক্রমন ধারালো ছিল না।’
আকারে ইঙ্গিতে তিনি ফুটবলারদের ভ্রমন ক্লান্তি এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ঘাটতির কথাই বলছেন। তাছাড়া এদিন মনের মতো মাঠও সাজাতে পারেননি আনচেলত্তি। বিশেষ করে কার্ড সমস্যা থাকায় এদিন রাফিনিয়াকে নামাতে পারেননি। ‘জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ হিসাবে আমার কাছে এটা ছিল বিশেষ কিছু। ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার কাছ থেকে যে অভ্যর্থনা পেয়েছে তাতে সম্মানিত বোধ করেছি। তবে ম্যাচের ফল আমাদের প্রত্যাশা মতো হয়নি।’ ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও স্বীকার করছেন সে কথা। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের নতুন কোচ প্রথম ম্যাচেই সব কৌশল দেখাননি।
কালের আলো/এসএকে