অনিশ্চয়তার যুগে কাজ করা: আমাদের যা শিখতে হবে যা ভুলতে হবে
প্রকাশিতঃ 12:33 pm | June 04, 2025

লে. কর্নেল খন্দকার মাহমুদ হোসেন, এসপিপি, পিএসসি (অব.):
২১ শতকের নিরক্ষর সেই ব্যক্তি নয়, যে পড়তে বা লিখতে পারে না; বরং সেই ব্যক্তি, যে শিখতে, ভুলতে এবং নতুন করে শিখতে অক্ষম। — অ্যালভিন টফলার অবিরাম পরিবর্তনের যুগ (The Era of Constant Change)। আজকের পৃথিবীতে অনিশ্চয়তা কোনো ব্যতিক্রম নয়, বরং এটি নিয়মে পরিণত হয়েছে এবং সেটাকেই মেনে নিতে হবে।
পৃথিবীজুড়ে মহামারি, প্রযুক্তিগত বিপর্যয়, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তঃদেশীয় যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি—সবকিছুই নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রযুক্তি, শিক্ষা, ব্যবসা, রাজনীতি—সব ক্ষেত্রেই চলছে নতুন করে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার পালা। এখন আর প্রশ্ন হচ্ছে না- পরিবর্তন কবে আসবে? বরং আমরা কত দ্রুত পরিবর্তনে মানিয়ে নিতে পারি সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
আমার ছোট উপলব্ধি
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন’ ( Training and Development), ‘প্রতিষ্ঠানগত আচরণ’ (Organizational Behaviour), ‘মানবসম্পদ পরিকল্পনা ও নীতিমালা’( HR Planning and Policies) ইত্যাদি বিষয় পড়ানোর সময় এবং শিল্পখাতে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতায় আমি প্রতিটি পাঠদানের জন্য পরিকল্পনা করতাম অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে—সিলেবাস অনুসারে, স্লাইড প্রস্তুত করে, লক্ষ্য নির্ধারণ করে। আমার সামরিক ও কর্পোরেট পটভূমি আমাকে শিখিয়েছিল যে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা থাকলেই শেখার কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
শ্রেণিকক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পেয়েছি—কেউ প্রযুক্তিতে দক্ষ, আবার কেউ মৌলিক ধারণাতেই দুর্বল। একইভাবে কর্পোরেট প্রশিক্ষণেও দেখি, অংশগ্রহণকারীদের মানসিকতা, শেখার ধরণ ও প্রেষণা একেক জনের একেক রকম। তখন উপলব্ধি করি যে, কনটেন্ট ডেলিভারি মানেই জ্ঞান অর্জন একথাটি এ যুগে মানানসই নয়। বিশ্বায়ন আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে আমি নতুন করে ‘মানব- কেন্দ্রিক’ শিক্ষা, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা, প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে ব্যবহারিক প্রয়োগ শিখছি যেখানে নমনীয়তা, সহানুভূতি এবং প্রাসঙ্গিকতা খুবই মুখ্য।
আমি সুদক্ষদের কাছ থেকে ফলাফলভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি (Outcome-Based Education বা OBE) শিখেছি এবং পরিস্থিতির সাথে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। যেমন-
অনিশ্চয়তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর একুশ শতকের চরম পরিবর্তনের যুগে শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়ে
পড়াশুনা করা (Subject) এবং দক্ষতা বৃদ্ধি(Skill) খুবই জরুরি?
আমার শিক্ষাদান পদ্ধতি কি প্রযুক্তি-নির্ভর, সমসাময়িক, প্রজন্ম বান্ধব এবং তথ্যবহুল?
আমি কি তাদের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো (Adaptation situation), সমালোচনামূলক চিন্তা (critical
thinking), জীবনব্যাপী শিক্ষা (lifelong learning) এবং সমস্যা সমাধান পদ্ধতি (problem solving)
শেখার মানসিকতা গড়ে তুলতে পারছি?
হতে পারে সেটা শ্রেণিকক্ষে দলগত কাজের মাধ্যমে শেখানো, কিংবা কর্পোরেট ট্রেনিংয়ে অটোমেশন বা রিমোট ওয়ার্কের চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত করে। আমি উপলব্ধি করেছি—শুধু জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং খাপ খাওয়ানো পদ্ধতি, সহমর্মিতা, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ, ও স্থিতিস্থাপকতা(Flexibility) গড়ে তোলাই হলো এই সময়ের শেখানোর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আমি সামরিক বাহিনী, কর্পোরেট জগৎ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে একটিই বিষয় গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি—প্রতিযোগিতার এই বাস্তবতায় সর্বাধিক শক্তিশালীরাই সবসময় টিকে থাকে না। বরং যারা সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজিত করতে পারে, তারাই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেয়। সুতরাং, আপনি যদি শিক্ষক হন, কর্পোরেট লিডার হন কিংবা শিক্ষার্থী—এই পরিবর্তনশীল নতুন যুগে টিকে থাকতে হলে আপনাকে শিখতে হবে, ভুলে যেতে হবে, এবং আবার নতুন করে শিখতে হবে—এ এক অবিরাম অভিযোজনের যাত্রা।
কীভাবে মানিয়ে নেব এই অনিশ্চয়তার যুগে?
বর্তমানে জ্ঞানের আয়ু খুবই স্বল্প। পাঁচ বছর আগের প্রাসঙ্গিক দক্ষতা আজ অচল হয়ে যেতে পারে। আমাদের প্রয়োজন হলো—একটি ‘নিরবচ্ছিন্ন শেখা’র (continuous or lifelong learning) মানসিকতা গড়ে তোলা।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় এর মানে হচ্ছে—
শিক্ষায় এবং চাকরির প্রশিক্ষণে ডিজিটাল দক্ষতা, অ-প্রযুক্তিগত দক্ষতা (soft skills), বহুমুখী
দক্ষতা(multi-skill) এবং সমস্যা সমাধানের কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা।
কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পাঠদানের পাশাপাশি চাহিদা( demand) আর সক্ষমতা(capacity)
ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে তাদের কর্মীদের নিয়মিত দক্ষতা বৃদ্ধি (up skill) ও নতুন দক্ষতা (re-
skill) অর্জন করানো।
কী শিখতে হবে, পুনরায় শিখতে হবে এবং ভুলে যেতে হবে?
প্রতিটি সিদ্ধান্ত কেবল ব্যক্তিক বা বিভাগীয় নয়, বরং সামগ্রিক ভাবে প্রভাবিত করে। কেবল প্রযুক্তি ব্যবহার
নয় জানলেও হবে না, বরং এর প্রভাব অনুধাবনও করতে হবে। এছাড়াও :
স্থির পাঠক্রমই সফলতার নিশ্চয়তা — এই বিশ্বাস ভুল।
পদমর্যাদাই জ্ঞান আর দক্ষতার মাপকাঠি — এটিও ভুল ধারণা।
শীর্ষ থেকে পরিচালিত মডেলই কার্যকরী —এই ধারণা ঠিক নয়। আজকের যুগে দলভিত্তিক, স্বনির্ভর নেতৃত্বই বেশি কার্যকর।
রৈখিক ক্যারিয়ার ভাবনা (Linear career thinking) ভুলে যেতে হবে। বর্তমান যুগে এই ভাবনায় ক্যারিয়ার
গড়া যায় না। এখন একজন প্রকৌশলীও হতে পারেন একজন ভার্চুয়াল টিম ম্যানেজার।
নিয়ন্ত্রণ-কেন্দ্রিক সংস্কৃতি ও মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি বেশ অকার্যকর এবং অনুপ্রেরণাহীন পরিবেশ সৃষ্টি করে।
অনিশ্চয়তার যুগে সহানুভূতি ও মানসিক বুদ্ধিমত্তাকে একত্রে কাজে লাগাতে হবে। শুধু নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, অন্যের কথা শোনা ও বুঝাও জরুরি। ‘সব বিষয়ে কাজ করতে পারি বা জানি, কিন্তু কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর দক্ষতা বা বিশেষজ্ঞতা অর্জন করেনি’ এই দক্ষতা নিয়ে বেশিদূর যাওয়া যাবে না । “আমি জানি না, তবে জানতে চাই”—এই মানসিকতা গঠন করতে হবে। ২১ শতকে সফল হতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘মানব-কেন্দ্রিক নেতৃত্ব’ এবং ‘অভিযোজিত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার’ (Adaptive Training System) ওপর জোর দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের (Company Owners / Leaders) জন্য যা শিখতে হবে (Learn): ডিজিটাল নেতৃত্ব (Digital Leadership), টেক-সচেতন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, টেকসই ব্যবসায়িক কৌশল (Sustainable Strategy), মানসিক স্থিতিশীলতা: অনিশ্চয়তা ও ব্যর্থতার মধ্যেও শান্ত থাকা এবং মানবিক নেতৃত্ব ও আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (Empathetic & Emotionally Intelligent Leadership) যা চাহিদা বান্ধব হতে হবে।
পুনরায় শিখতে হবে (Relearn): কর্মী উন্নয়নের প্রকৃত পদ্ধতি, মানসিক সুস্থতা ও কর্মস্থলে সহানুভূতিশীল সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শৃঙ্খলার সাথে নমনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখা।
ভুলে যেতে হবে (Unlearn): কেবল মাত্র নিয়ন্ত্রণ-নির্ভর নেতৃত্ব, স্থির (fixed) কাঠামোয় চলা ব্যবসায়িক মডেল, শুধু মুনাফাভিত্তিক চিন্তা ।
শিক্ষকদের (Educators / Trainers) জন্য শিখতে হবে (Learn): Outcome-Based Education (OBE), প্রযুক্তিনির্ভর ও প্রজন্মবান্ধব শিক্ষাদান, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক (Learner-centric) পদ্ধতি, ডিজাইন থিংকিং ও সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি পুনরায় শিখতে হবে (Relearn): পাঠদানের মানসিকতা: জ্ঞান বিতরণের চেয়ে অনুপ্রেরণাদান, সামাজিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পাঠ্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা, মূল্যায়নের (assessment) নতুন রূপ— যেমন, পারফর্মেন্স বা প্রকল্পভিত্তিক মূল্যায়ন
ভুলে যেতে হবে (Unlearn): একমুখী বক্তৃতা নির্ভর পাঠদান, GPA-কেন্দ্রিক মূল্যায়নকে প্রাধান্য দেওয়া, ‘একই ছাঁচে ফেলে’ শেখানোর ধারণা।
চাকুরিজীবীদের (Job Holders / Professionals) জন্য শিখতে হবে (Learn): নতুন ডিজিটাল দক্ষতা (AI, Data Literacy, Automation Tools), Soft skills:
যোগাযোগ, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, Adaptability এবং Resilience (স্থিতিস্থাপকতা) ।
পুনরায় শিখতে হবে (Relearn): সমস্যা সমাধান, চিন্তাশীল বিশ্লেষণ, টিমওয়ার্ক ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, পেশাগত দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতা।
ভুলে যেতে হবে (Unlearn): শুধু এক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, “নিরাপদ চাকরির” ধারণায় শেখা বন্ধ করে দিতে হবে।
একটি বাস্তবধর্মী মডেল-(Post Action Briefing)
আমার সামরিক ও কর্পোরেট জীবনে শেখার একটা পদ্ধতি ছিল, আর সেটা হলো—Post Action Briefing (PAB) বা কার্যক্রম-পরবর্তী ব্রিফিং। এটি হলো একটি অনুশীলন যেখানে প্রতিটি কাজ শেষে চারটি প্রশ্ন করা হয়:
আমরা কী পরিকল্পনা করেছিলাম?
কী করা হয়েছে এবং কি ঘটেছে?
কি সফলতা বা খারাপ হলো—কেন হলো?
ভবিষ্যতে কীভাবে আরও ভালো বা উন্নতি করা যায়?
প্রশিক্ষণ হোক, প্রকল্প হোক বা টিম ম্যানেজমেন্ট—এই ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ‘শেখা’কে (learning) করে তোলে জীবন্ত ও কার্যকর।
মানুষের বিশেষ শক্তি: অভিযোজনক্ষমতা (Power of Adaptation)
বর্তমান সময়ে শুধু দক্ষতাই যথেষ্ট নয়, " অভিযোজনযোগ্যতা" একটি মৌলিক দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ব্যক্তি জীবনে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা বা ব্যবসায়—যেকোনো ক্ষেত্রে অভিযোজনই মানুষকে স্থির না থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়।
একজন মানুষ হিসেবে অভিযোজন জীবনের অপরিহার্য অংশ। সম্পর্ক, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত বদলায়। যে ব্যক্তি এই পরিবর্তনগুলোকে গ্রহণ করতে শেখে, সে জীবনকে সহজভাবে নেয় এবং মানসিকভাবে আরও সুস্থ থাকে। একজন শিক্ষকের জন্য প্রতিদিনই একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। পাঠ্যক্রম, প্রযুক্তি, শিক্ষার্থীর মনস্তত্ত্ব ও পদ্ধতির ক্রমাগত পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। অভিযোজনশীল শিক্ষক কখনোই পুরোনো পদ্ধতিতে আটকে থাকেন না; বরং তিনি সময়ের সাথে শেখেন, শেখান এবং নিজেকে নতুন রূপে গড়ে তোলেন।
কর্মক্ষেত্রে অভিযোজন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। কাজের ধরন, প্রযুক্তি, দলগত পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠানের নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন আসতে পারে। যে কর্মীরা অভিযোজন করতে পারেন, তারা প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পদে পরিণত হন। উদ্যোক্তাদের জন্য অভিযোজন কোনো বিকল্প নয়—এটি বেঁচে থাকার রসদ। বাজার, গ্রাহক, প্রতিযোগিতা ও প্রযুক্তি সবকিছুই দ্রুত পরিবর্তনশীল। সফল উদ্যোক্তারা জানেন কীভাবে ব্যবসার ধারা পাল্টাতে হয়, কীভাবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হয় এবং কীভাবে নতুন পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। তারা কখনো কোনো একটি ধারণা বা পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে বসে থাকেন না।
আমি সামরিক বাহিনী, কর্পোরেট জগৎ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে একটিই বিষয় গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি—প্রতিযোগিতার এই বাস্তবতায় সর্বাধিক শক্তিশালীরাই সবসময় টিকে থাকে না। বরং যারা সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজিত করতে পারে, তারাই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেয়।
সুতরাং, আপনি যদি শিক্ষক হন, কর্পোরেট লিডার হন কিংবা শিক্ষার্থী—এই পরিবর্তনশীল নতুন যুগে টিকে থাকতে হলে আপনাকে শিখতে হবে, ভুলে যেতে হবে, এবং আবার নতুন করে শিখতে হবে—এ এক অবিরাম অভিযোজনের যাত্রা (journey of continuous adaptation) । এই অভিযাত্রায় স্থিরতা নয়, নমনীয়তাই (flexibility) হবে আপনার আসল শক্তি।
লেখক : সাবেক সামরিক কর্মকর্তা।