বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে বিবিসির মিথ্যাচার, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ
প্রকাশিতঃ 10:38 am | April 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশের খ্রিস্টানরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে এমন উল্লেখ্য করে এর দায় সরকারের উপর চাপিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। তারা দাবি করে বিশ্বে খ্রিস্টান নিগ্রহের তালিকায় অন্যতম একটি দেশ হলো বাংলাদেশ। তবে এই সংবাদের পর এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা।
তারা বলছেন, বর্তমান বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। খ্রিস্টানরা এদেশে নিগ্রহের শিকার বলে বিবিসি’র যে বক্তব্য সেটা প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান নির্যাতনের ওপর যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বিবিসি’র একটি অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। সেখানেই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে।
দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সরকারের গাফিলতির কারণেই এদেশে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন খ্রিস্টানরা। এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়। তারা মনে করেন, বিবিসির ওই অনুষ্ঠানে আসা বক্তব্যের সঙ্গে কোনো মিল নেই বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতার।
বরং সব ধর্মের মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য বাকি বিশ্বের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে বর্তমান বাংলাদেশ। আর সেজন্য বিবিসির ওই অনুষ্ঠানের বক্তব্যের ভিত্তি ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
বাংলাদেশের একজন খ্রিস্টান যাজক বলেন, অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি অনেক বেশি। এদেশের অধিকাংশ মানুষই অনেক বেশি উদার এবং অসাম্প্রদায়িক। তাছাড়া প্রত্যেকটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এদেশের সরকারের তৎপরতা প্রশংসার দাবি রাখে।
শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ই নয় বিবিসি’র অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হওয়ার পর সচেতন দেশে বিদেশে অনেকেই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর প্রতিবাদ জানান। তিনি এ বিষয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বিবিসি’র বক্তব্যের সঙ্গে একমত হবে বলে আমার মনে হয় না।
কালের আলো/এমএইচএ