মিনিকেটের দাম কমেছে, ৭০ টাকার নিচে সবজি নেই

প্রকাশিতঃ 12:27 pm | May 09, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বাজারে আসছে নতুন চাল। ফলে দাম কমেছে সরু তথা মিনিকেট চালের। গত দুই সপ্তাহে ধরনভেদে এই চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে। অন্যদিকে, সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম চড়া।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডায়মন্ড, মঞ্জুর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই চালের কেজি ৮৮ থেকে ৯০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে অন্যান্য চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে, রোজার ঈদের পর বাড়তে শুরু করে সবজির দাম। কমদামি সবজি হিসেবে পরিচিত প্রতি কেজি পেঁপে এখন ৮০ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর পল্লবীর মুসলিম বাজার, বউবাজার, মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দামে হেরফের না হলেও ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা।

সকালে পল্লবীর মুসলিম বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে শাক-সবজি সাজাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতার সংখ্যা কম। পেঁপের দাম কত জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা হাসান বলেন, মাত্র ৮০ টাকা। এখন পেঁপের সরবরাহ খুব কম। পাইকারি বাজারেও দাম বেশি। বর্ষা শুরু হলে দাম কিছুটা কমে যাবে।

আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম বাড়ায় পেঁপের ক্রেতাও কমে গেছে। এখন পেঁপের মৌসুম না। ঢাকায় পেঁপে আসছে কম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৭০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। প্রতিকেজি পটোল ৭০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৯০-১০০ টাকা, টমেটো মানভেদে ৪০-৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৭০-৯০ টাকা, ঝিঙা প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, কচুরমুখি প্রতিকেজি ১০০-১২০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, সজনে ডাটা কেজি ১৫০-১৬০ টাকা। প্রতিকেজি চিচিঙা ৬০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫-৩০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১১৫ টাকা, দেশি চিকন মসুর ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচাবাজারে ডিম ব্যবসায়ী সবুজ আহমেদ বলেন, দাম একটু বেশি, আমরা বেশি দামে ডিম কিনছি এখন।

ডিম কিনতে আসা গৃহিণী জারা আমিন বলেন, অনেক দিন ধরে শুনছি ডিম বাজারে আসবে না। বন্ধ হয়ে যাবে। দুই সপ্তাহ আগে ডিম কিনেছি। তখন ১৩০ টাকা ডজন পড়েছে। আজ কিনলাম ১৪৫ টাকায়।

মাহফুজ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বেশি রাখছে। ক্রেতারা অসহায়। দুনিয়ার যেখানে যুদ্ধ হোক বাংলাদেশ পণ্যের দাম বাড়ে। ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধ লেগে গেলেও এর ব্যতিক্রম হবে না।

তবে ডিমের দাম বাড়লেও মুরগির দাম স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৭০-১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কালের আলো/এএএন