রেকর্ড ১৫ ঘণ্টা ধরে সংবাদ সম্মেলন করলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
প্রকাশিতঃ 1:56 pm | May 04, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। যদিও দীর্ঘ এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি নামাজের জন্য সংক্ষিপ্ত বিরতি নেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর এই সংবাদ সম্মেলন ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সম্প্রতি এক দীর্ঘ প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই কনফারেন্সটি ১৪ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ধরে চলে, যা মধ্যরাতের পর শেষ হয়।
এই সময়ের মধ্যে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নামাজের জন্য সংক্ষিপ্ত বিরতি নেন। এই কনফারেন্সটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ২০১৯ সালের ১৪ ঘণ্টার প্রেস কনফারেন্সের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এএফপি বলছে, এই দীর্ঘ কনফারেন্সটি বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, “তিনি সমাজে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দেন এবং তথ্যভিত্তিক, সুষম ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।”
এই কনফারেন্সে তিনি সাংবাদিকদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রশ্নেরও উত্তর দেন। প্রায় দুই ডজন সাংবাদিক এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
মোহাম্মদ মুইজ্জু ২০২৩ সালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার প্রশাসন মালদ্বীপের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উন্নতি সাধন করেছে; ২০২৫ সালের রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ১৮০টি দেশের মধ্যে ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ উন্নতি।
এর আগে, ২০০৯ সালে মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি তুলে ধরতে বিশ্বের প্রথম পানির নিচে মন্ত্রিসভার বৈঠক আয়োজন করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা স্কুবা গিয়ারে সজ্জিত হয়ে ভারত মহাসাগরে পানির নিচে বৈঠক করেন, যা জাতীয়ভাবে সম্প্রচারিত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপ বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সম্মুখভাগে রয়েছে। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এই দ্বীপরাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কালের আলো/এসএকে