আজান-কেরাতের সুমধুর সুরশৈলী, আরও মজবুত করবে তিন বাহিনীর পারস্পরিক সৌহার্দ্য
প্রকাশিতঃ 10:13 pm | April 18, 2025

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
সুললিত কণ্ঠে কল্যাণের দিকে ধাবিত হওয়ার আহ্বান হচ্ছে আজান। সুমধুর এই আহ্বান নিয়ে মহাকবি কায়কোবাদ কবিতায় ছন্দে উচ্চারণ করেছিলেন- ‘কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি। মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী। কি মধুর আযানের ধ্বনি…।’ মনোমুগ্ধকর আজানের বাণী আর হৃদয়কাড়া ছন্দের ঝংকারে কেরাতের অসাধারণ সুরশৈলীর মোহনীয়তায় উজ্জীবিত করে মুমিনের অন্তর। এই আজানই মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র।
ইসলামের অন্যতম এই দু’নিদর্শন বা প্রতীক নিয়েই বরাবরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় চলতি বছরের আন্ত:বাহিনী আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতার। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সদর দপ্তর লজিস্টিকস্ এরিয়া এর ব্যবস্থাপনায় ঢাকা সেনানিবাসস্থ ৯০১ সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপ, ইএমই এর মসজিদে সমাপনী অনুষ্ঠানে ঐশীপ্রেরণাজাত নিদর্শনে সবাইকে মুগ্ধ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দল আর রানারআপ হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দল।
বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সৈনিকদেরকে শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুললিত কণ্ঠে আজান ও কেরাত চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কেবল ধর্মীয় নির্দেশনা প্রতিপালনই নয় বরং মুসলিম উম্মাহর হাজার বছরের অনুপম সাংস্কৃতিক নিদর্শনের প্রতিচ্ছবিও ফুটে ওঠে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মোস্তাগাউছুর রহমান খান। এ সময় ধর্ম প্রতিপালনের মাধ্যমে মানুষের নৈতিক মনোবল সুদৃঢ়ের গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দেন তিনি। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল পদবীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে চলতি বছরের আন্ত:বাহিনী আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মোট ৩টি দল সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ খায়ের উল আফসার। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বিকাশ ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুত হবে।
কালের আলো/এমএএএমকে