সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা মামলার আসামি সাদেক গ্রেপ্তার
প্রকাশিতঃ 5:18 pm | September 27, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আলোচিত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম আসামি মো. সাদেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ১৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানা ফাঁসিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ফাঁসিয়াখালী এলাকার মো. খাইরুজ্জামানের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতি সংগঠনের জন্য সমবেত হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অভিযান টিমের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জনের নেতৃত্বে আনুমানিক রাত ৩টা ২৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ডাকাতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে পিছু পিছু ধাওয়া করে।
এ সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার একজন ডাকাতকে আটক করেন। আটক ডাকাতকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে অপর ডাকাতরা এসে লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়া কে ধারালো ছুরি দ্বারা হত্যার উদ্দেশে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে আটক ডাকাতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে সেনা কর্মকর্তা তানজিম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনাটি দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব এ হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ছায়াতদন্তসহ ঘাতকদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করে।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কালের আলো/এমএএইচ/ইউকে