রথযাত্রায় আহতদের চিকিৎসার খরচ দেবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 5:14 pm | July 08, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দুই রোগী চন্দন কুমার দেব (৬৪) ও রঞ্জন চন্দ্র পালকে (৪৮) দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করব। যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা।
এরআগে, গতকাল রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় রথযাত্রার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন অন্তত ৩০ জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ জানান, চন্দন কুমার দেবের শরীরে ২৫ শতাংশ আর রঞ্জন চন্দ্র পালের পুড়ে গেছে ৯ শতাংশ। তবে তাদের দুজনেরই মাথায় আঘাত রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাখা হয়েছে আইসিইউতে।
দগ্ধ চন্দন কুমার দেবের ছেলে পরাগ দেব জানান, তারা থাকেন সদর উপজেলার দত্তবাড়ি এলাকায়। তার বাবা ইসকনের অনুসারী। রথযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। রোববার বিকেলে এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর তার বাবার খোঁজ নিতে ফোন করলে জানতে পারেন, হতাহতদের সবাইকে জিয়া মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে সেখানে গিয়ে চন্দন দেবকে দেখতে পান তারা।
চন্দন কুমার দেবের স্ত্রী বলেন, আমি আর আমার মেয়েও যেতে চেয়েছিলাম তার সঙ্গে। তবে আমি কিছুটা অসুস্থ থাকায় আমাকে বলেছিলেন, রথ যখন আমাদের বাসার সামনে দিয়ে যাবে তখন যেনো আমরা রথযাত্রায় অংশ নেই। কিন্তু কিসের ভেতর কি হয়ে গেল। এখন সে আইসিইউতে কাতরাচ্ছে।
বগুড়ায় শহীদ জিয়া মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়েছিলো তাকে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনার পর থেকে তিনি বারবার বুকে ব্যথার কথা বলছেন। তার মাথার পেছনে, কপালে, কানে জখম হয়েছে। বুক থেকে নিচের পুরোটা ব্যান্ডেজ করা হয়েছে বলে জানান ছেলে পরাগ দেব।
এদিকে, রঞ্জন চন্দ্র পালের মেয়ে রাখি পাল জানান, তার বাবা রঞ্জন চন্দ্র রথযাত্রার পেছনে ছিলেন। আর মা ও ছোট দুই বোন ছিলেন সামনে। রথের ওপরের অংশ বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শ হলে রথ ধরে থাকা তার বাবা বিদ্যুতায়িত হন। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরবর্তিতে ওই হাসপাতালে গিয়ে বাবাকে খুঁজে পান তিনি।
রঞ্জন চন্দ্র থাকেন উপজেলার সেউজগাড়ি পালপাড়া। এলাকাতে মুদি দোকান রয়েছে তার। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং কোমড় ও দুই পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। পুরো শরীর ব্যন্ডেজ করা।
কালের আলো/এমএইচইউআর