বাঙালি জাতির জন্ম ইতিহাসের সূতিকাগার সেই বাড়িটি ঘুরে দেখলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিতঃ 8:04 pm | June 24, 2024

কালের আলো রিপোর্ট:

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়-প্রতিটি ঘটনারই স্বাক্ষী সেই বাড়িটি। এখানেই প্রায় ১৪টি বছর স্বপরিবারে কাটিয়েছেন বাঙালি জাতির চির আরাধ্য পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা এই বাড়িটিকেই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
  • মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ সেনা সদস্যদের সম্মানে শ্রদ্ধা নিবেদন
  • সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দলের সেনাবাহিনী প্রধান’কে সেনাকুঞ্জে গার্ড অব অনার প্রদান

সোমবার (২৪ জুন) বাঙালি জাতির জন্ম ইতিহাসের সূতিকাগার এই বাড়িটি ঘুরে দেখেছেন দেশের ১৮তম সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অবলোকন করলেন কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকা স্মৃতি জাদুঘরটির বিভিন্ন কক্ষ। এই বাড়িটিতেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর শয়ন কক্ষ, পড়ার ঘর, ছোট্ট একটি ড্রয়িং রুম যেখানে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে টিভি দেখতেন ধন্য সেই পুরুষ। আছে বঙ্গবন্ধু ব্যবহৃত পাইপ, চশমাসহ বিভিন্ন ব্যবহার সামগ্রী। এসব ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্নের পাশাপাশি ঐতিহাসিক নানা ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষ্যও আজও অমলিন এই বাড়িতে।

এই বাড়িটির প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের অন্যদের আরও অনেক স্মৃতি। একটি কক্ষের পাশেই বঙ্গবন্ধুর পড়ার ঘর। এখানে বসে জাতির পিতা লেখালেখি করতেন। এখান থেকেই তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠিয়েছিলেন। অমলিন এসব স্মৃতি আপ্লুত করে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকেও। এ সময় সেনাপ্রধানের প্রিয়তমা স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা জামান উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু ভবন পরিদর্শনের আগে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে তিনি সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়েও স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বানে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ সেনা সদস্যদের সম্মানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও, তিনি সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল সেনাবাহিনী প্রধান’কে সেনাকুঞ্জে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন।

এদিন সেনাপ্রধান সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে বীর শহীদদের সম্মানে সালাম প্রদান করেন। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সাভারের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মঈন খাঁন।

নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সফর সঙ্গী ছিলেন সেনাবাহিনীর কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (এজি) মেজর জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, মেজর জেনারেল সারোয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনিরুল ইসলাম (ডিপিএস) প্রমুখ।

আগামী তিন বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ‘কমান্ড’ করবেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন। নতুন সেনাপ্রধানও তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি তাঁর সফলতা কামনা করেছেন।

কালের আলো/এমএএএমকে