সাবেক ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিতঃ 6:08 pm | June 13, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সাবেক ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। তাকে বিদেশযাত্রায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুদকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিতে বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষ ওয়াহিদার ৬০ দিনের জন্য বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
দুদক সূত্র জানায়, ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজ ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের অনুলিপি সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন), স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশসহ বেশ কয়েকটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফের অভিযোগে গত মঙ্গলবার ওয়াহিদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম শেখ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৬টি নথিতে গ্রামীণফোনের ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা; ৭টি নথিতে বাংলালিংকের ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবির ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৮ টাকা ও এয়ারটেলের ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা সুদ মওকুফ করেন তিনি।
আসামি ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী আইনবহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়।
এর মাধ্যমে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও আত্মসাৎ করেছেন বলে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ১৫২ কোটি টাকা সুদ আইনানুগভাবে আদায়যোগ্য ছিল। কিন্তু কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী কিছু যুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে একক নির্বাহী আদেশে অসৎ উদ্দেশ্যে সুদ আদায় করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এর ফলে সরকারের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা আদায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ