একগুচ্ছ সুসংবাদ দিলেন ডা:এম.এ.আজিজ

প্রকাশিতঃ 2:56 am | February 11, 2018

আনিসুর রহমান/মোহাম্মদ রাইসুল, কালের আলো :
একগুচ্ছ সুসংবাদ দিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম.এ.আজিজ। তিনি জানালেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল উন্নীত হতে যাচ্ছে ৭ হাজার শয্যায়। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। শিগগির এর সুফল মিলবে।

দেশের প্রখ্যাত এ চক্ষু বিশেষজ্ঞ আরো জানান, ঢামেকের পাশেই রাজধানীর চানখাঁরপুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ৫’শ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ইনস্টিটিউটের কাজও শেষের পথে। বৃহত্তম এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন অগণিত অগ্নিদগ্ধ মানুষ উন্নত সেবা নিতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) ময়মনসিংহ জেলা শাখা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেলে নিরঙ্কুশ বিজয়ী ২৪ প্রতিনিধির একজন অধ্যাপক ডা: এম.এ.আজিজ। রেকর্ড ১০ হাজার ৫১২ ভোট দিয়ে ভোটাররা দেশের এ শীর্ষ চিকিৎসক নেতার গলায় বিজয়মাল্য পড়িয়েছেন।

সংবর্ধনায উচ্ছ্বসিত চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডা:এম.এ.আজিজ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিকিৎসা সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়নের সারি সারি চিত্রপট। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ৫’শ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটটি দুই তলা বেজমেন্টসহ মোট ১২তলা বিশিষ্ট হচ্ছে।

ভবনের তিনটি ব্লকের একটি ব্লকে বার্ন, একটিতে প্লাস্টিক ও অন্যটিতে একাডেমিক ভবন হবে। নতুন এই ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হলে এখান থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিতে পারবেন।

তিনি জানান, দেশে বর্তমানে ১০৫ টি মেডিকেল কলেজ ও ৩ টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গণমানুষের চিকিৎসার দূয়ার খুলে দিয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষিত হয়েছে। একটির পর একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা:এম.এ.আজিজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিকিৎসকদের জন্য কিছু ফর্মুলাও বাতলে দেন। দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করেছেন চিকিৎসকরাও।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হাসপাতালে, চেম্বারে রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। একজন জনপ্রতিনিধির মতো তৃণমূলের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে চিকিৎসকদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। তিনি নির্দেশ দেন এসব জনগোষ্ঠীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে।

শুধু চিকিৎসা সেক্টরেই নয় শিক্ষা, যোগাযোগ, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথাও তথ্য-উপাত্তে তুলে ধরেন ময়মনসিংহের ‘চরাঞ্চলের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত এ চিকিৎসক নেতা। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর হাওয়া ভবন চায় না।

২১ আগষ্টের গ্রেনেড ও ১৭ আগষ্টের সিরিজ বোমা হামলা দেখতে চায় না। পাক কূটনৈতিকদের সঙ্গে যারা ষড়যন্ত্র করে, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যারা ষড়যন্ত্র তাদের নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্বে এসব গোষ্ঠীর সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাবে বলেও বিশ্বাস করেন তিনি। জননেত্রীকে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন যাবত মাঠে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন অধ্যাপক ডা:এম.এ.আজিজ। তাকে ঘিরে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগোষ্ঠী। পরিচ্ছন্ন ইমেজ তাকে দলীয় মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে বলেও মনে করেন তার অনুসারী-অনুগামীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ঢাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজয়ী অধ্যাপক ডা:এম.এ.আজিজ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু) থেকে ৫ জন প্রতিনিধি সিনেটে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সেক্টরের কমিটি আমরা ঢেলে সাজাতে চাই। এর মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা হবে।

ছাত্র সমাজের দাবি এবং আদালতের নির্দেশনা ঢাকসু নির্বাচন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা সিনেট সদস্যরা তাকে দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঢাকুস’র নির্বাচনমুখী করতে বলেছি। উপাচার্য আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। ঢাকুস নির্বাচন আয়োজনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, বলেন ডা:এম.এ.আজিজ।

কালের আলো/টিএম