‘সেকেন্ড পার্টির’ মাধ্যমে নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 10:03 pm | March 13, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে ‘সেকেন্ড পার্টির’ মাধ্যমে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, যারা জাহাজটিকে হাইজ্যাক করেছে, এখনও তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ (ফরমালি কন্টাক্ট) হয়নি। আমরা সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা করছি এবং যেখানে জানানো প্রয়োজন, আমরা সেখানে জানিয়েছি।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে রিপোর্টিং সেন্টার ইন কুয়ালালামপুর, ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার ইন নিউ দিল্লি, তারপর সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, ইউকে, চীনসহ সকল এরিয়ার নেভাল শিপে আমরা রিপোর্ট করেছি। অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন। বিষয়টি মন্ত্রিসভায়ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে।”
জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের কীভাবে মুক্ত করা হবে এবং জলদস্যুদের কোনও মুক্তিপণ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই জাহাজটাকে এবং নাবিকদের মুক্ত করা। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি কী হবে, এটা ইন পাবলিক বলার বিষয় নয়। ইতোপূর্বে একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।
‘এমপাওয়ারিং ফিউচার: ইনভেস্ট ইন উইমেন টুয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, একটি গবেষণায় দেখো গেছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন নারীরা। পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ কাজ নারীরা করে থাকেন। তারা অফিসও করেন, বাসায় গিয়ে পারিবারিক কাজ ও সন্তানদের লালন-পালনও করেন। কিন্তু তাদের আনপেড কেয়ার ওয়ার্কের কোনও মূল্যায়ন নেই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেটা হবে মানবিক। যেখানে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটবে। সেজন্য মায়েদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সর্বক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের সভাপতি নাসিম ফেরদৌস। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক।
কালের আলো/বিএসবি/এমএইচ