ইজতেমার সময় টঙ্গী স্টেশনে থামবে সব ট্রেন

প্রকাশিতঃ 4:48 pm | January 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিশ্ব ইজতেমা-২০২৪ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেনে আসা মুসুল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য টঙ্গী স্টেশনে সব ট্রেন যাত্রা বিরতি করবে। এছাড়া আখেরি মোনাজাতের দিন পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রেলভবনের সভাকক্ষে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে রেলওয়ের প্রস্তুতি বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

মন্ত্রী জানান, সব আন্তঃনগর মেইল ও কমিউটার ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযুক্ত করা হবে। সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ মিনিট করে বিরতি দেবে।

এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব (জোবায়ের অনুসারী) অনুষ্ঠিত হবে ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব (সাদ অনুসারী) অনুষ্ঠিত হবে ৯-১১ ফেব্রুয়ারি।

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ মিনিট করে থামবে। ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি (দুই পর্বের ইজতেমা) আখেরি মোনাজাতের দিন সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া বাকি সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন (আপ ও ডাউন) টঙ্গী স্টেশনে ৩ মিনিট করে থামবে।

তিনি বলেন, ‘৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন ৪৯নং বলাকা কমিউটার ট্রেন ৪টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ৫টায় ছাড়বে। ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ৭৯২/৭৯১ নম্বর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকবে, তবে ৭৫৪/৭৫৩ নম্বর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি চলাচল করবে।’

মো. কামরুল আহসান বলেন, ‘আখেরি মোনাজাতের পরের দিন অর্থাৎ ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা থেকে বহির্গামী টিকিটধারী যাত্রীদের ফেরত যাওয়া ও টঙ্গী স্টেশনে আরোহণের সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো টঙ্গী স্টেশনে ৩ মিনিট থামবে।

এর আগে সোমবার বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠসংলগ্ন বাটা রোডে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল।

আসন্ন ইজতেমা সফল হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাস। এ ইজতেমায় অনেক বিদেশি মুসল্লি আসেন। তাদের জন্য ভিসা প্রসেসিং দ্রুত ও সহজ করতে আমরা কাজ করছি।’

ইজতেমা আয়োজনে দুই দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের বিরোধ দুঃখজনক। আপনাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। দুই পক্ষ যদি একসঙ্গে খেতে পারতেন, আমরা খুশি হতাম। তাদের মেলানোর দায়িত্বটা ধর্মমন্ত্রীকে দিলাম। তিনি ভবিষ্যতে তাদের মিলিয়ে দেবেন।’

কালের আলো/এমএইচ/এসবি