নাসুমের বলটি ‘ওয়াইড’ ছিল কিনা, নিয়ম কী বলছে?

প্রকাশিতঃ 4:14 pm | October 20, 2023

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় হার দেখল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ম্যাচে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে তারা একপেশে পারফরম্যান্সে হেরেছে। তবে ম্যাচ হারের চেয়েও আলোচনার বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আম্পায়ারের ‘ওয়াইড’ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত! এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি হাজির করছেন ক্রিকেটভক্তরা। কোনো বল ব্যাটারদের চেয়ে কতটুকু দূরত্বে থাকলে ওয়াইড হবে, তা নিয়ে নিয়ম প্রণয়নকারী সংস্থা এমসিসির নীতিমালায় বলা আছে। সেই নিয়মটিতে আরেকবার নজর দেওয়া যাক—

নীতিমালার ২২.১.২ ধারা অনুযায়ী, কোনো বল ‘নো’ না হলে আম্পায়ার বলটি ওয়াইড দিতে পারবেন এবং ব্যাটার যে পজিশনে দাঁড়িয়ে আছেন সেখান থেকে যদি সেটি ওয়াইড লেন্থে যায়। কিন্তু ২২.১ ধারায় একটু সংস্কার এনে এমসিসি জানিয়েছে, বোলার বল ডেলিভারি করার আমুহূর্ত পর্যন্ত ব্যাটার যে পজিশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটাকে তার স্টান্স পজিশন ধরা হবে।

বিষয়টি পরে আরও পরিষ্কার করতে বিবৃতি দিয়েছিল এমসিসি। সেখানে তারা জানায়, আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটাররা বল ডেলিভারি হওয়ার আগপর্যন্ত ক্রিজে অনেক বেশি নড়াচড়া (মুভ) করেন। এক্ষেত্রে ব্যাটার যে পজিশনে বল ডেলিভারি হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত স্টান্স নিয়েছিল ওই লেন্থে বোলার বল করলে সেটি ওয়াইড হবে না। তবুও তাতে আম্পায়ার ওয়াইড ডাকলে তা অনৈতিক হয়ে যায়।

দ্বিতীয় ইনিংসের শেষদিকে বিরাট কোহলি ব্যাট করাকালে ওই নিয়মটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটলবরো। নাসুম আহমেদের বল ডেলিভারির আগপর্যন্ত বিরাট কোহলি লেগ স্টাম্পের বাইরে স্টান্স নিয়েছিলেন। বল ডেলিভারির সময় তিনি পায়ের উপরের অংশ বাঁকিয়ে ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে নেন। যদিও তার পা আগের অবস্থানেই ছিল। তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত-ই চূড়ান্ত হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি ভুল কিংবা পক্ষপাতিত্ব বলার সুযোগ কম। এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়— ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হলে আম্পায়ার ওই বলটা ওয়াইড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন কিনা!

৪২তম ওভারের ঘটনা। প্রথম বলটি ডাউন দ্য লেগে করেছিলেন নাসুম। কোহলির পা এবং ব্যাট থেকে বেশ দূর দিয়ে বল গেলেও আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটলবরো ওয়াইড দেননি। তখন জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ২ রান। ফলে ওয়াইড বলে দু’দলের স্কোর সমান হয়ে যেত। কিন্তু তখনও যে কোহলির সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ৩ রান, এতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কঠিন হয়ে পড়ত ভারতীয় তারকার জন্য।

ম্যাচশেষে নাসুম বলটি ইচ্ছে করে ওয়াইড দিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘না ইচ্ছে করে এরকম কিছু করা হয়নি। আমরা প্রপার ম্যাচ খেলতে চেয়েছি।’ একই প্রসঙ্গ উঠে আসে ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিলের সামনেও। তিনি বলেন, ‘কোনটাতে অবাক হব? ডেলিভারিটা নাকি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা (হাসি)। (বোলার) ইচ্ছে করে দিয়েছে কিনা কীভাবে বলি। আমার মনে হয় বোলার আঁটসাঁট লাইনে বল করতে চেয়েছে, তাই ওরকম হয়ে গেছে।’

কালের আলো/এসএম