হঠাৎ বেড়ে গেছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, শীতে ১ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিতঃ 12:10 pm | February 07, 2018

কক্সবাজার প্রতিনিধি | কালের আলো:

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গ অনুপ্রবেশ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার টেকনাফে এসেছে নতুন করে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ। এর মধ্যে শীতের ৮-৯ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বাহারছড়ার ৯ নম্বর ওযার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস বলেন, ভোরে বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া সমুদ্রসৈকত এলাকা দিয়ে নৌকায় করে ৪০০ জন রোহিঙ্গা আসে। এর মধ্যে শীতের কারণে ৮-৯ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাকে শীলখালীতে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। পরে রোহিঙ্গারা ভাগ হয়ে কিছু উখিয়া ও টেকনাফের দিকে চলে যায়।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরের দংখালী বালুরচরে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে এখনো তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা রয়েছেন। হামলার মুখে তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ওই স্থানে অবস্থান নেয়। সেখানে খাবার সামগ্রী ও খাবার পানির প্রকট সংকট চলছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গতকাল নতুন আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি এ বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্র সূত্র বলছে, গত সোমবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নতুন করে আসে ২২টি পরিবারের ৯৩ রোহিঙ্গা। নাফনদীর বিজিবির কড়া সর্তক থাকায় রোহিঙ্গারা এখন সাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফে আসছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রথমে সেনাবাহিনীর হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে নেয়া হয়।

এরপর মানবিক সহায়তা ও প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, সুজি, চিনি, তেল, লবণের একটি করে বস্তা দিয়ে গাড়িযোগে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে। বিজিবির হেফাজতে হারিয়াখালী ত্রাণ কেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার দূরে বেড়িবাঁধের ওপর আরও ১২৯ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, এখনো থেমে থেমে কিছু রোহিঙ্গা আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সাগর দিয়ে ছয়শতাধিক রোহিঙ্গা আসায় উদ্বেগ কিছুটা বেড়েছে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক শিশু মারা গেছে বলে স্থানীয় ইউপির সদস্যের মাধ্যমে শুনেছি।